নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পেল ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। গতকাল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ অনুমোদন দিয়েছে।
বিএসইসির ৭৯০তম সভায় অনুমোদন দেয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ইউনিয়ন ব্যাংক পুঁজিবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। এজন্য ব্যাংকটি ৪২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে।
পুঁজিবাজার থেকে ব্যাংকটি অর্থ উত্তোলন করে এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ১৬ টাকা ৩৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৭ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
এছাড়া সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩০০ কোটি টাকার, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার এবং ইসলামী ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দেয়া হয়।
জানা গেছে, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩০০ কোটি টাকার (মোট ইস্যু প্রাইজ ৩৬৫ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা) নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন করেছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল, ফুল্লি পেইড আপ, নন-কিউমিলেটিভ, ব্যাসেল-৩ কমপ্লেইন্ট পারপিচুয়াল বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটির ৪৫০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ৫০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ৮০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল, ফুল্লি পেইড আপ, ফ্লোটিং রেট, নন-কনভার্টেবল ব্যাসেল-৩ কমপ্লেইন্ট দ্বিতীয় পারপিচুয়াল বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটির ৭২০ কোটি টাকা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ৮০ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির ইউনিটপ্রতি অভিহিত মূল্য পাঁচ হাজার টাকা।
