মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও বৃদ্ধি পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক। দিন শেষে প্রধান সূচক বৃদ্ধি দেখা যায় ৬২ পয়েন্ট বা প্রায় এক শতাংশ। লেনদেন শেষে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ২৫৮ পয়েন্টে। একই সঙ্গে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির। পক্ষান্তরে ১৭৭টির দর হ্রাস পায় এবং ২২টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদিন বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল কম দরের শেয়ার। এ দৌড়ে এগিয়ে ছিল যেসব শেয়ারদর ১০ টাকার নিচে রয়েছে এ ধরনের শেয়ার। এসব শেয়ারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। গতকাল প্রায় ৭৯ শতাংশে বিনিয়োগকারীর চাহিদায় ছিল এ ধরনের শেয়ার।
অন্যদিকে গতকালের মোট লেনদেনে আগের কার্যদিবসের মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানি। দিন শেষে লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় প্রায় ১৩ শতাংশ। পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। একইভাবে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। একইভাবে অন্যান্য খাতও লেনদেনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৬৯৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৩৮ কোটি টাকার বেশি। মার্কেটটিতে লেনদেনে অংশগ্রহণ করে ৫০টি কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার ২৩৪টি শেয়ার ৯৪ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৩৮ কোটি ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬ কোটি ৮০ লাখ ৫৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার।