শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছরপূর্তি আজ। এ ঘটনা ইতিহাসে ‘নাইন ইলেভেন হামলা’ নামে ঠাঁই নিয়েছে। হামলার ২০ বছরপূর্তিতে আজ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শোক পালন করা হচ্ছে। হামলায় স্বজন হারানো কয়েকটি পরিবার জানান সে সময়ের বিভীষিকায় স্মৃতি। খবর: রয়টার্স।
নিউইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ছিনতাই হওয়ার দুটি বিমানের হামলার মধ্য দিয়ে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সিন্ডি মিকগিনটির জীবনে শুরু হয় শোকের অধ্যায়। সেই হামলায় মারা যান তার স্বামী মাইক মিকগিনটি। আমেরিকান এয়ারলাইনস ফ্লাইট-১১ যখন নর্থ টাওয়ারের ৯৩ থেকে ৯৯ তলা পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল, মাইক তখন ভবনটির ৯৯তম তলায় ছিলেন।
কানেটিকাটের ব্লুমফিল্ডে নিজের বাড়িতে সিন্ডি মিকগিন্টি বলেন, লোকজন প্রায়ই আমাকে বলে, ‘২০ বছর তো হয়ে গেল।’ কিন্তু শোক তোমাকে ছাড়ছে না, এটা তুমি ছাড়তে পারবে না। সিন্ডির বয়স এখন ৬৪ বছর, দুই ছেলে ডেভিড আর ড্যানিয়েলকে লালন-পালনের জন্য মন কতটা শক্ত করে তাকে লড়তে হয়েছে, সে কথাই তিনি স্মরণ করছিলেন। সে সময় ছেলেদের একজনের বয়স ছিল সাত বছর, অন্য জনের আট।
সিন্ডি মিকগিন্টি এখন ‘৯/১১ ডে’ নামে একটি আলাভজনক প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। তিনি বলেন, আমরা চাই ওই দিনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং দেশের জন্য যারা কাজ করেছেন, তাদের প্রত্যেকের স্মরণে মানুষ ভালো কোনো কাজ করবে। ওই হামলার পর যে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, আবারও সেই অবস্থান তৈরির এটা একটা উপায়।
আইনজীবী ক্রিস্টেন ব্রেইটউইজারের স্বামী রোনাল্ড ব্রেইটউইজার ওই হামলায় নিহত হন। তিনি বলেন, আমার স্বামী ছিলেন টুইন টাওয়ারের দ্বিতীয় ভবনের ৯৪তম তলায়, সে আমাকে ফোন করে জানায়, পাশের ভবনটিতে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। তার গালে গরম লাগছে এবং লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়তে দেখছে। এরপর ফোনটা বন্ধ হয়ে গেল। ভবনের যেখানে সে বসেছিল, সম্ভবত তিন মিনিট পর সে অংশে বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ক্রিস্টেন ব্রেইটউইজার বিধবা হয়ে গেলেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতোই নাইন-ইলেভেন হামলার ২০তম বার্ষিকীতে নিজের মেয়ের সঙ্গে প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাবেন তিনি।
