নিজস্ব প্রতিবেদকশেষ ম্যাচটা জয়ে রাঙানো হলো না বাংলাদেশের। সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। সুযোগ ছিল শেষটাও জয়ে রাঙিয়ে উৎসব করার। সেটা আর হলো না। মিরপুরে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে গতকাল টাইগারদের ২৭ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করেছে নিউজিল্যান্ড।
১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। নাইম শেখ আর লিটন দাস উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ২৬ রান। ধীরগতির লিটন কিউই স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেলের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। তারপরই বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম শেখও (২১ বলে ২৩)। বেন সিয়ার্সের ১৪৭ কিলোমিটার গতির ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ওপেনার।
‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’খ্যাত মুশফিকুর রহিম হাল ধরবেন কি উল্টো দলের বিপদ বাড়ান উচ্চাভিলাষী এক শটে। রবিন্দ্রকে লংঅফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি (৮ বলে ৩)। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
সেখান থেকে আশার আলো জ্বালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেন ধ্রুব। পঞ্চম উইকেটে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তারা। জয়ের সম্ভাবনা ভালোভাবেই জেগেছিল এই জুটিতে।
২৫ বলে জয়ের জন্য দরকার তখন ৫৩ রান, এমন সময়ে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। কাগেলেইনকে ডিপকভার দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন টাইগার দলপতি, ২১ বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন ২৩ রান।
মাহমুদউল্লাহর আউটে ভাঙে ৪২ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো জুটিটি, যে জুটিতে আসল অবদান ছিল আফিফেরই। একদম টি-টোয়েন্টি মেজাজেই খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু সঙ্গী পাননি।
নুরুল হাসান সোহান (৪), শামীম হোসেন পাটোয়ারীরা (২) উইকেটে এসেছেন আর দেখে চলে গেছেন। ফলে আশা জাগিয়েও আর জয় ছোঁয়া হয়নি টাইগারদের। আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান। মাত্র এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। ৩৩ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় আফিফ অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে।
এর আগে টম ল্যাথামের হাফসেঞ্চুরি আর ফিন অ্যালেনের ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৬১ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। শেরে বাংলায় আবারও টসভাগ্য ছিল সফরকারিদের পক্ষে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। শেষ ম্যাচসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন টম ল্যাথাম। আর ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন নাসুম আহমেদ।