পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে সিটি ব্যাংক

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিটি ব্যাংক লিমিটেড পুঁজিবাজারে কার্যক্রম আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্দেশ্যে সিটি ব্যাংক এএমসি ও সিটি ব্যাংক অল্টারনেটিভ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের দুটি সহযোগী কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রতিষ্ঠান দুটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা তথা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমতি পেলেই কেবল এ কোম্পানি কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সিটি ব্যাংকের দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড ও সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৬৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৭ টাকা ৯৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ জুন বেলা ১১টায় কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস। এ সময় ইপিএস হয়েছে চার টাকা ১০ পয়সা এবং এনএভি ২৮ টাকা সাত পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা পাঁচ পয়সা ও ২৬ টাকা ৭৪ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা হয় ৩৫৯ কোটি ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৭০ কোটি ৬১ টাকা ১০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানিটির এক কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ১৯ হাজার ৯৫২টি শেয়ার মোট ২৫৬ বার হাতবদল হয়। এদিন শেয়ারদর দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২০ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৫ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৫১৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
চলতি হিসাবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১২ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি ৩১ টাকা ৭২ পয়সা। এটি আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ২৭ টাকা ৯৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৮ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাতে সাত দশমিক ৯৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক দুই।
ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি) রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং ‘এএ২’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এটি-২’ পেয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানির ৮৭ কোটি ৫৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩১টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, বিদেশি আট দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০