মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক হ্রাস পেতে দেখা যায় ১৩ পয়েন্ট। লেনদেনে শেষে সূচক স্থির হয় সাত হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। একইভাবে হ্রাস পায় লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
গতকাল ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি কোম্পানি ও ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচা হয়।
এর মধ্যে দর বাড়ে ১১৩টির। পক্ষান্তরে ২৩০টির দর হ্রাস পায় এবং ৩৩টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
এদিকে গতকালের মোট লেনদেনে চোখ রাখলে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় ওষুধ ও রসায়ন ও বস্ত্র খাতকে। মোট লেনদেনে এ দুই খাতের অবদান দেখা যায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে লেনদেনে ১৭ শতাংশ অবদান রাখতে দেখা যায় ওষুধ ও রসায়ন খাতকে।
অন্যদিকে মোট লেনদেনে বস্ত্র খাত এককভাবে ১৬ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এছাড়া মোট লেনদেনে প্রকৌশল খাত ১২, আর্থিক খাত প্রায় ১০, বিবিধ খাত সাত দশমিক ১৪ ও ব্যাংক খাত পাঁচ দশমিক ১৪ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে গতকাল সূচক হ্রাসের দিনে দর বাড়তে পেতে দেখা যায় বেশিরভাগ ‘জেড’ ক্যাটেগরির কোম্পানির শেয়ারদর। এদিন লেনদেন হওয়া ৫০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারদর বৃদ্ধি পায়। গতকাল এ ধরনের মোট ৩০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বাড়ে ১৫টির। পক্ষান্তরে আটটি কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পায় এবং সাতটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত থাকে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ২৫৭ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে কিছুটা বেশি। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।
অন্যদিকে গতকালের মোট লেনদেনের মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ৯৩ কোটি টাকা। এ মার্কেটে গতকাল মোট ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়।