ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের কারণে প্রশ্ন উঠেছে ই-কমার্স নিয়ে। তাই ই-কমার্স নিয়ে ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনো আইনের প্রয়োজন রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মতামতের জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা কমিটির সভায় এ সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) ও ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা কমিটির আহবায়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

বৈঠকে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলমসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, লেজিসলেটিভ বিভাগ, এটুআই, এফবিসিসিআই, ই-ক্যাব ও বেসিসের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, ই-কমার্সের জন্য নতুন আইন হবে কি না বা ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে কি না, সেটা জানা যাবে আরও এক মাস পর। আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়ে একটি সাব-কমিটি হয়েছে। সে সাব-কমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে নতুন আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে কি না। কমিটি পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।

সফিকুজ্জামান বলেন, ই-কমার্স কর্তৃপক্ষ করতে বেশ সময় লাগে, এখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় আছে। হঠাৎ যদি ছয় মাসের মধ্যে ডিজিটাল কর্তৃপক্ষ করতে বলা হয়Ñসেক্ষেত্রে অফিস ও অভিজ্ঞতাসহ সার্বিক বিষয়গুলো দ্রæত করা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ডিজিটাল কমার্স সেলকে আমরা শক্তিশালী করব। এ সেলকে কারিগরি সহায়তাও দেব। আমাদের ভাবনা সাব-কমিটিকে জানানো হয়েছে।

সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন রয়েছে, প্রতিযোগিতা কমিশন আইন আছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। বর্তমান আইনগুলো সংশোধন করে নতুন কোনো ধারা-উপধারা সংযোজনও হতে পারে।

ই-কমার্সের বর্তমান দুরবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে, এটা আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব না।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ডিজিটাল সেল আছে। সেলটি একটি এসওপি করেছে। সেটা একটা গাইডলাইন। ফলে সেখানে আইন প্রয়োগের সুযোগ কম। এসওপি প্রয়োগের জন্য যে লিগ্যাল অথরিটি সেটা থাকে না। তাই ডিজিটাল কমার্সকে শক্তিশালী করতে সাব-কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রæত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ নয়, মনিটর করা হবে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স আইন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচএম সফিকুজ্জামানকে কমিটির আহবায়ক এবং উপ-সচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে সদস্য সচিব করা হয়।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০