নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯-এর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইনস্টিটিউট ও বিভাগে শিক্ষার্থীদের সশরীরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।
এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার এবং ৫ অক্টোবর হলগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী ১০ অক্টোবর সব বর্ষের জন্য হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
গতকাল জবি ট্রেজারার ও উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিভাগের পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন এবং পরীক্ষা চলাকালে কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি এখানকার মেডিকেল সেন্টারে একটি অস্থায়ী করোনা টিকার বুথ স্থাপনের জন্য। আশা করি শিগগির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিঠির মাধ্যমে আমাদের টিকার বিষয়ে জানিয়ে দেবে। এর পরই আমরা টিকার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।
পরীক্ষা পরিদর্শনকালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, প্রক্টর মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রক্টরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জবিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ এ সময় অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও গতকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদে সশরীরে পরীক্ষা দেয়া শুরু হয়।