বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। গতকাল রোববার ঢাকায় রেলভবনে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশের রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

সাক্ষাতকালে আরও ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মনে করেন, যে কোনো দেশের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো রেলওয়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে রেল খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।

এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, রেল খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান। ভবিষ্যতেও আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।

চলমান কয়েকটি প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরেন নূরুল ইসলাম সুজন। এগুলো হলোÑচট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণকাজ। এ ছাড়া ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রীর কথায় আমাদের রেলপথ যমুনার কারণে দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশিরভাগ সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সব সিঙ্গেল লাইন ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশনের দিকে যাব।

রেলমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকে সরকার রেল খাতে বিনিয়োগ শুরু করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০