নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত বাজেটে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও উড়োজাহাজ ভ্রমণে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান সরকারের ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাট অল লেভেলস’ নীতি ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতির ফলে ব্যাংকিং খাতে লেনদেনের আকার ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিবেচনায় রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৪ সংশোধনের প্রস্তাব করছি।’
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনায় বলেন, ‘বছরের যে কোনো সময় অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডেবিট কিংবা ক্রেডিট হয় এমন অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে তা পূর্বের ন্যায় আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয় না। এখন এক লাখ টাকার অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে হতে এক কোটি টাকা পর্যন্ত হলে এক হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে দুই হাজার ৫০০ টাকা, এক কোটি টাকার ঊর্ধ্ব থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত হলে সাত হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১২ হাজার টাকা এবং পাঁচ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ১৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ও সার্কভুক্ত দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এয়ারলাইনস টিকিটের ওপর আবগারি শুল্কের বিদ্যমান পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে অন্যান্য ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে সার্কভুক্ত দেশ ব্যতীত এশিয়ার অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান এক হাজার টাকার পরিবর্তে দুই হাজার টাকা এবং ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান এক হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিমানযাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এ শুল্ক এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ টিকিটের সঙ্গে যুক্ত করে আদায় করবে।
Add Comment