দাম একটু বেশি তবে খাদ্য সংকট নেই: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যের জন্য দেশে এখন আর হাহাকার নেই, খাদ্য সংকট নেই, তবে খাবারের দাম একটু বেশি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পণ্যের চাহিদা যদি বেশি হয় এবং সেই তুলনায় যদি সরবরাহ কম থাকে, তাহলে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়বেই। হাজার চেষ্টা করেও তখন দাম কমানো সম্ভব নয়। যেমন বর্তমানে আলুর দাম কম, এখন কি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো সম্ভব? তারপরও আমরা সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে। যারা ব্যবসা করেন তারা আরও বেশি মুনাফা করতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। সারা পৃথিবীতেই এমন হয়।  

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ীতে বিশ্বখাদ্য দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, একটা জিনিস আমাদের সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে, প্রতিবছর ২৪ লাখ জনসংখ্যা বাড়ছে। পৃথিবীর বহু দেশে ২৪ লাখ মানুষ নেই। আবার আমাদের কৃষিজমির

পরিমাণ কমে যাচ্ছে। একই জমিতে শিল্প কলকারখানাও গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ফলে মানুষের আয় বাড়ছে। জমি কমে যাওয়ার পরও আমরা কিন্তু উৎপাদন বাড়িয়েছি। হাঁস-মুরগি ও পশু পালন এবং মৎস্য চাষের ফলে খাদ্যের ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েছে। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের দামের বিষয়টা আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। খাদ্যের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য স্থানীয় বাজারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এখন আশ্বিন-কার্তিক মাস, এই সময়ে দেশে মঙ্গা শুরু হতো, কিন্তু আমরা মঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বর্তমান সময়ে একজন শ্রমিক কিংবা রিকশাওয়ালা এক দিনের আয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ কেজি চাল কিনতে পারেন। সেটা কিনতে পারেন বলেই দেশের মানুষের মধ্যে খাদ্য নিয়ে হাহাকার নেই, মানুষ না খেয়ে নেই। কুড়িগ্রাম-নীলফামারী অঞ্চলের মানুষ এখন বলে দেশে মঙ্গা নেই, আমরা ভালো আছি। 

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ, সেটা আমরা বলছি না, কিন্তু আমাদের দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে। চালের দাম একটু বেশি হলেও চাল নিয়ে দেশে অস্থিরতা নেই। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহুল ইসলাম।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০