নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে কর পূর্ববর্তী পরিচালন আয় বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ৪৫ শতাংশ। এছাড়া কোম্পানিটির জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে মোট বিক্রির পরিমাণ চার হাজার ৬০২ মিলিয়ন টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে মোট বিক্রি ছিল তিন হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন টাকা। একই সময়ে কর পূর্ববর্তী আয় হয়েছে এক হাজার ২১৫ মিলিয়ন টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮৪৪ মিলিয়ন টাকা।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম ৯ মাসের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা ১০৬ ভাগ বেড়েছে। কোম্পানি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বর্ধিত ইনপুট ব্যয় বাণিজ্যিক উদ্যোগের মাধ্যমে কমাতে সফল হয়েছে। এটি অর্জনে ডিজিটাল উদ্যোগ, পণ্য সরবরাহের নতুন নতুন চ্যানেল বাস্তবায়ন, সুপারক্রিট সিমেন্টের নতুন মোড়ক উম্মোচন এবং ব্যয় সংকোচন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।
এ সম্পর্কে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডর প্রধান নির্বাহী রাজেশ সুরানা বলেন, “ব্যয় সংকোচন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ আরো একটি দারুণ প্রান্তিক অতিক্রম করেছে। আমরা যে নতুন নতুন পণ্যসমূহ বাজারে এনেছি সেগুলো অত্যন্ত সফল এবং আমাদের গ্রাহকবৃন্দ আমাদের পণ্য ও সমাধান বৈচিত্র্যে আস্থা রেখেছেন। গ্রাহকদের কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছাতে আমাদের ডিজিটাল উদ্যোগগুলো এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। দারুণ এই অর্জনের জন্য আমি আমাদের সব কর্মী এবং ব্যবসায়িক পার্টনারদের তাদের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।”
উল্লেখ্য যে, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানিটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সিমেন্ট কারখানা ও তিনটি গ্রাইন্ডিং স্টেশন স্থাপনে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা সিমেন্ট খাতে এ দেশে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ।