নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ওয়াসার সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এসএম ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছে। সেজন্য ফরিদ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস এবং তা অর্জনের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে দুদক।
গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির পরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজাদের সই করা পাঠানো নোটিসে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নোটিসে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস ফরিদ উদ্দিন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে ও বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাই নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তার নিজের, স্ত্রী ও নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব অঞ্চল-১০ এর ডেপুটি চিফ রেভিনিউ অফিসার ফারুক হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, এসএম ফরিদ উদ্দিন গত বছর মারা গেছেন। তার বাড়ি বরিশাল।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগ যাচাইয়ে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। অভিযুক্তরা হলেনÑকুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সেহাব উদ্দিন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহা. সারওয়ার।
গত ১১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয় বলে গতকাল দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।
এক চিঠিতে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদকের পাঁচ কর্মকর্তাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল ইসলাম।