৫ দিনমজুরের হাইকোর্টের জামিন চেম্বারে বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ দিনমজুরকে হাইকোর্টের দেওয়া এক বছরের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে এই টাকা আত্মসাতের মামলায় জড়িয়েছিলেন ঐ নিরীহ দিনমজুররা।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালত তাদের জামিন বহাল রাখার আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে এই মামলায় পাঁচ দিনমজুরের এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ৬ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

গত ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির পাঁচ দিনমজুরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন।

ওই পাঁচ দিনমজুর হলেন- কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবাঁস গ্রামের বিধবা ফুলমনি রানী, রণজিৎ কুমার, প্রভাস চন্দ্র, কমল চন্দ্র রায় ও নিখিল চন্দ্র বর্মণ। এর মধ্যে চারজন কারাগারে আছেন।

গত ১৫ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘করোনা প্রণোদনার নামে প্রতারকচক্রের ফাঁদে পড়ে ৪ দিনমজুর কারাগারে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে গত ১ জুলাই দুই সরকারি কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর হেডকোয়ার্টার শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল হক। সরকারি ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার এ মামলায় গাজীপুর থানা পুলিশ ২ জুলাই চার দিনমজুরকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্ত পাঁচ দিনমজুরের পরিবারের দাবি, করোনা প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে তারা জড়িত নন। দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০