বড় পতনে লেনদেন ও শেয়ারদর হ্রাস পেয়েছে শীর্ষ খাতগুলোর

মো. আসাদুজ্জামান নূর: আবার বড় পতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। ৩৩ কার্যদিবস পর গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক সাত হাজারের নিচে নেমেছে। ১২০ পয়েন্ট কমে গতকাল ডিএসইএক্স ছয় হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। বাজার পতনের সঙ্গে কমেছে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে শীর্ষে থাকা খাতগুলোর লেনদেন আগের কার্যদিবসের চেয়ে কমেছে।

গতকালের পুঁজিবাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেনের শীর্ষে থাকা সব খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পেয়েছে। আর আগের কার্যদিবস রোববারে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বিবিধ খাতের কোম্পানি চার ধাপ নিচে নেমে গেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওষুধ খাত শীর্ষে ওঠে আসে। তবে আগের কার্যদিবসে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও টাকার অঙ্কে এ খাতে লেনদেন গতকালের চেয়ে বেশি ছিল। এছাড়া গতকাল শীর্ষে থাকা অন্যান্য খাতের লেনদেন আগের কার্যদিবস রোববারের চেয়ে কমতে দেখা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৪৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন থেকে ৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৭১ কোটি চার লাখ টাকা।

গতকাল মোট লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে ১৫ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ অর্থাৎ ২১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়। আগের দিনে এ খাতের অবদান ছিল ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ২৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার। গতকাল এ খাতে শেয়ারদর বাড়ে সাতটির, হ্রাস পায় ২৩টি কোম্পানির।

শুধু ওষুধ খাত নয়, অন্যান্য খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর গতকাল হ্রাস পেয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় স্থানে থাকা জীবন বীমা খাতের লেনদেন ছিল ১৬৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ অবদান রাখা এ খাতের ১১টির শেয়ারদর হ্র্রাস পায়, আর একটি করে কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি ও অপরিবর্তিত ছিল।

ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে থাকা ব্যাংক খাত গতকালের লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এ খাতের অবদান ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ১৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হলেও এ খাতের ৫৬ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হতে দেখা যায়। ১৮টি কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাসের বিপরীতে সাতটির বেড়েছে ও সাতটির অপরিবর্তিত থাকতে দেখা যায়।

আগের কার্যদিবসে লেনদেনের শীর্ষে থাকা বিবিধ খাত গতকাল চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসে। গতকাল এ খাতের অবদান ছিল আট দশমিক ৪৮ শতাংশ। আগের কার্যদিবসে এটি ছিল ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সেদিন ৩৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হলেও গতকাল এটি ১১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় নেমে আসে। গতকাল এ খাতের ১২টির কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পেলেও দাম বেড়েছে মাত্র একটির।

লেনদেনে পঞ্চম অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। গতকাল ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকার লেনদেন হয় এ খাতে। এ খাতের ৫০টি কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পায়। এর বিপরীতে শেয়ারদর বাড়ে মাত্র ৯টি কোম্পানির। এছাড়া লেনদেনে জ্বালানি, প্রকৌশল, ট্যানারি, খাদ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি খাতের আধিপত্য দেখা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১২০ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে। গত ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ৯ দিনে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট সূচক কমেছে। আর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস ২২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬৫ পয়েন্টে ও ডিএসই৩০ সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৬৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়।

গতকাল দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০৭টির দর কমতে দেখা গেছে। এর বিপরীতে মাত্র ৪৭টির দর বেড়েছে ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০