নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীদের কভিডের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। আগামীকাল থেকে ঢাকার আটটি কেন্দ্রে একযোগে চলবে টিকাদান। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ফাইজার-বায়োএনটেকের এ টিকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহায়তায় ঢাকায় আটটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্য সব স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হবে।
এগুলো হলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমণ্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।
ডা. শামসুল হক জানান, ফাইজারের টিকা দেয়া ও ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রয়োজন হয়। এ কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রতিটিতে ২৫টি করে বুথ থাকবে। এসব স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দিতে পারবে।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না। নিবন্ধন করতে হবে ও টিকা নেয়ার জন্য টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, টিকা নেয়ার পর কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। তাদের কারও কোনো সমস্যা না হওয়ায় স্কুলশিশুদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
টিকা পেতে স্কুলশিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। তারপর মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে টিকা নেয়ার তারিখ ও টিকাদান কেন্দ্রের নাম জানানো হবে। টিকা নেয়ার সময় টিকা কার্ড প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে হবে।
এরই মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের ৭০ লাখের বেশি ডোজ কভিড টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। নভেম্বরে ফাইজারের আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
