পানির অপচয় রোধে আমাদের করণীয়

সানজীদা আমীন: পানি হচ্ছে প্রকৃতির অন্যতম নিয়ামক। এদেশের প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে পানির অন্যতম উৎস নদী। নদীমাতৃক আমাদের জন্মভূমিতে আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে নদী। প্রকৃতি ও পরিবেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িত, অথচ আমাদের সবার জীবনের সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা চিন্তা না করে আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি, জলাশয় ভরাট করে অট্টালিকা নির্মাণ করছি এবং কলকারখানা তৈরি করছি। ভবিষ্যতে এর জন্য আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এডমন্ড হিলারি বলেছিলেন, পরিবেশজনিত সমস্যা আসলে একটি সামাজিক সমস্যা, এ সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও শিকার দুই-ই মানুষ। আমাদের দেশে জমির কীটনাশক পদার্থ ও রাসায়নিক সার নদী, খাল-বিল, পুকুরসহ জলাশয়গুলোকে দূষিত করছে, ফলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দূষিত পানি পান করার ফলে প্রতিবছর বিশ্বে কয়েক লাখ শিশু মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে, আর মায়েরা দূষিত পানি পান করার ফলে বিভিন্ন রোগ, এমনকি বিকলাঙ্গ শিশু পর্যন্ত জš§ দিচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি বা নিরাপদ পানি বলতে যে পানিতে ময়লা আবর্জনা ও রোগজীবাণু থাকে না, তাকে বোঝায়।

পৃথিবীর সবকটি সাগর, মহাসাগর, উপসাগর, নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা, হ্রদ-হিমবাহ, মেরুতুষার এবং ভূগর্ভস্থ পানি নিয়ে বারিমণ্ডল গঠিত। পৃথিবীর মোট পানির ৯৭ ভাগ পানি সমুদ্রে থাকে, দুই ভাগ পানি আসে হিমবাহ ও মেরু তুষারপাত থেকে, আর মাত্র এক ভাগ পানির উৎস নদ-নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবা, কুয়ো, নলকূপ, ঝরনা ও ভূগর্ভ থেকে।

পানির পরিমাণ ও মান হ্রাস পাচ্ছে পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত, বিশুদ্ধ পানির শুদ্ধিকরণ হ্রাস পাচ্ছে আর পানিদূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি ছাড়া উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলের বেঁচে থাকা দুরূহ। পানি বিশ্লেষকদের মতে, আগামী চার দশকের মধ্যে আমাদের দেশে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ হ্রাস পাবে আশঙ্কাজনক হারে। ফলে পানি সংকটের সৃষ্টি হবে। আমাদের দেশে পানির অভাবে সেচের জমি কমে যাচ্ছে। খাদ্যশস্যের ওপর এর প্রভাব পড়ছে, ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে বর্ষা মৌসুমও সংক্ষিপ্ত হবে। ফলে কমে যাবে মাটির নিচের পানির স্তর। এতে ভূমিক্ষয় বেড়ে যাবে। কারণ প্রকৃতিপ্রদত্ত সমস্যাগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত।

পরিবেশবিদদের ঘোষণা জলাভূমি জীবনের ফুসফুস, বিশেষ করে আমাদের শহরের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা জলাভূমি। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি শহরের বর্জ্য পরিষ্কার করার মাধ্যমে রাস্তাঘাটকে পরিষ্কার করে। আর দেশের গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ সংরক্ষণে জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বড় বড় নদী, হাওর ও বিলাঞ্চলের পানি আমিষ জোগানদাতা মাছকে বাঁচিয়ে রাখে। শাকসবজি, ফলমূল আর ফসল উৎপাদনে জলাভূমি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। জীবনের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই।

আমাদের দেশে পানির বিরাট অংশ অপচয়ের মাধ্যমে নষ্ট হচ্ছে। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মানুষ দিনে গড়ে প্রায় ১৯০ লিটার পানি খরচ করে। কল খুলে রেখে দাঁত মাজতে খরচ হয় সাড়ে সাত লিটার পানি। প্রতিবার ‘ফ্লাশ’ মানেই প্রায় সাড়ে সাত লিটার পানির অপচয়। বাড়িতে মোট পানির দুই-তৃতীয়াংশ যায় বাথরুমে, কল বা ফুটো পাইপ বা যেকোনো ধরনের ওয়াটার লিকেজ থেকে।

আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে পানি ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে ক্রমাগত। এতে করে পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির ব্যবহার অপরিহার্য, অথচ এই পানির অধিকাংশই অপচয় হয়ে যাচ্ছে। একটু সচেতন হলেই পানির এই অপচয় রোধ করা সম্ভব।

পানির কল শক্ত করে না লাগানোর ফলে কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়তে থাকে। এই ফোঁটা ফোঁটা পানি হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১৫ লিটার এবং বছরে পায় পাঁচ হাজার ৫০০ লিটার পানি এভাবে অপচয় হয়, অথচ আমাদের একটু সচেতনতা ও সদিচ্ছা পানির অপচয় রোধ করতে সক্ষম।

রান্নাঘরে ব্যবহারের পানি সংরক্ষণ করে আমরা তা বাগানে ব্যবহার করতে পারি। এছাড়া ব্যবহƒত পানি ফিল্টার করে গাড়ি ধোয়া অথবা জানালার কাচ পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করতে পারি। আর এভাবে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব।

দাঁত পরিষ্কার করার সময় পানির কল বন্ধ রাখা আমাদের কর্তব্য। অনেকে পানির কল চালু রেখে দাঁত পরিষ্কার করেন। দাঁত পরিষ্কার করার সময় পানির কল বন্ধ রাখলে প্রতি মিনিটে ছয় লিটার পানির অপচয় রোধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

অনেক সময় দেখা যায়, সূর্যের উত্তাপে পানির পাইপ উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে ঠাণ্ডা পানির প্রবাহ পেতে অনেক সময় ধরে পানির কল চালু রাখা হয়। অথচ এ গরম পানি সংগ্রহ করে রেখে দিলে প্রয়োজনমতো সেই পানি পরে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। এতে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব।

বাগানে হোসপাইপ দিয়ে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় এক হাজার লিটার পর্যন্ত পানি খরচ হতে পারে। যদি বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈবসার দেয়া যায় এবং খুব সকালে ও বিকালে বাগানে পানি সেচ দেয়া যায়, তাহলে পানির বাষ্পীভবন অনেকটাই কমে যায়। ফলে মাটিতে অতিরিক্ত পানির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমে যায় এবং এভাবে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব।

পানির কল চালু করে অন্য কোনো কাজে মনোনিবেশ করা একেবারেই ঠিক নয়। প্রয়োজনীয় কাজটি শেষ করে পানির কলটি সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে অন্য কাজে মনোনিবেশ করলে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব।

দীর্ঘ সময় ধরে গোসলের ফলে পানির অপচয় হয়। গোসলের সময়ভেদে একজন মানুষ প্রতি মিনিটে ছয় থেকে ৪৫ লিটার পানি ব্যবহার করে। গোসলের সময় যেন পানির অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

পানি যখন দুষ্প্রাপ্য হয়, তখন পানি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় এবং তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধিও পায়। পানি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি মানুষের জন্য খুব প্রয়োজন। প্রয়োজন পরিবেশে পানিসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মতো প্রয়োজনীয় ধাপের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে বের করা। পানি আমাদের গ্রহের সব জীবের জন্য একটি অপরিহার্য সম্পদ। পৃথিবীর সব পানিসম্পদের মধ্যে কেবল দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বিশুদ্ধ। সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পানি দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। পরিষ্কার, নিরাপদ ও সুপেয় পানি প্রাপ্তির সুযোগ ধরিত্রীর মধ্যে সীমিত। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি দেশে দুই দশমিক আট বিলিয়নেরও বেশি মানুষ পানির দখলের সম্মুখীন হবে। এসব দেশের মধ্যে ৪০টি দেশ পশ্চিম এশিয়ার। ২০৫০ সালের মধ্যে পানির দখল বা সংকটের সম্মুখীন দেশের সংখ্যা ৫৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা চার বিলিয়ন মানুষের সমন্বিত জনসংখ্যার সমান। পানির সঠিক ব্যবহার ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর পানির পরিবেশগত প্রভাব কমাতে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় অনেক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে দেশ ও বিশ্বব্যাপী।

ভারতের অনেক এলাকার মানুষ নিজেদের উদ্যোগে পানি সংরক্ষণ করছে। কোথাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এনজিও ও স্থানীয় সরকার। কোনো কোনো শহরেও পানি ধরে রাখার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ২০০৪ সালের জুন মাসে বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা আইন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে। নতুন যে বহুতল ভবন তৈরি হচ্ছে, তার প্রতিটিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য পাইপের ব্যবস্থা রাখতে হচ্ছে, যাতে সহজেই বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায়।

আমাদের দেশের পরিবেশ বাঁচাতে পারে আমাদের মধ্যে অর্জিত সচেতনতা। এক্ষেত্রে আমরা এযাবৎকালে যেসব সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি, তা হোক আমাদের বেঁচে থাকার অভিযানের পাথেয়, অনুপ্রেরণা। মনে রাখতে হবে, পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সচেতনতা যেন সেøাগানধর্মী অভিযানে পরিণত না হয়। এ সচেতনতা বাস্তবায়িত করতে পারে ছোট ছোট বলিষ্ঠ কিছু কার্যক্রমকে, যাকে বলা যেতে পারেÑ‘অ্যাকশন অরিয়েন্টেড প্ল্যানস।’ কিন্তু সবার আগে নিজেদের দিয়ে শুরু করতে হবে। নিজে পানি অপচয় না করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মাধ্যমে প্রাথমিক কাজ শুরু করতে হবে। একসময় এই মাইক্রো স্কেল থেকে ম্যাকরো স্কেলে পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। পানিসম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, আহরণ, বিতরণ, সুরক্ষা ও সংরক্ষণের বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন ‘বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’ অনুসরণ করতে হবে যথাযথভাবে। ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আইন ১৯৯৫’-এ বলা হয়েছে, ‘পানির অপব্যবহার কিংবা দূষণ প্রভৃতি কারণে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে পরিবেশ আদালতের মহাপরিচালকের হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এই আইনের অধীন কোনো মামলা বিচারের জন্য গ্রহণ করিবেন না।’ সর্বশেষ ২০১০ সালে যে সংশোধন আনা হয়েছে, সেখানে ১৭ নম্বর ধারাকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছেÑ‘কোনো বিধি লঙ্ঘনের ফলে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ অথবা তাহাদের পক্ষে মহাপরিচালক পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।’ সেবামূলক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৬৩ সালে ঢাকা শহরের পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের জন্য একটি আলাদা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালের ১ জুলাই থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকায় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনের দায়িত্বও ঢাকা ওয়াসার কাছে ন্যস্ত করা হয়। ঢাকা ওয়াসার পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে ঢাকা ওয়াসার সমগ্র সেবা এলাকা ১১টি ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। এর মধ্যে ১০টি অঞ্চল ঢাকা মহানগরীতে এবং একটি অঞ্চল নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, যা সমগ্র দেশের মোট এলাকার ৩৭ শতাংশ, গঙ্গা নদীর পানির ওপর তা নির্ভরশীল। দেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এ অঞ্চলে বাস করে। এ অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন, নোনাপানির অনুপ্রবেশ রোধ, নদীভাঙন নিরসন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনার আলোকে নদীভাঙন, নদীভরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে বৃহৎ নদী সম্পদের নাব্য ও ধারণক্ষমতা পুনরুদ্ধারে ‘ক্যাপিটাল (পাইলট) ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

ইসলাম পদ ও সম্পদ-সংক্রান্ত যে ধারণা দিয়েছে, তার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জবাবদিহি, যেখানে ব্যক্তিকে নিজ কর্মের জন্য নিজেকেই পরিপূর্ণ হিসাব দিতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। পানির অপচয় রোধের শিক্ষা পরিবার থেকে, বিশেষ করে মা সন্তানকে শিক্ষা দেবে। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেমন প্রাইমারি স্কুল থেকে পানির অপচয় রোধের শিক্ষা শুরু করতে হবে এবং পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়ে অধ্যায় রাখলে শিশুরা ছোট থেকে অবগত হবে এবং পানির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা পাবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পানি অপচয় রোধের বিষয়টি প্রচারিত হওয়া জরুরি। পানি প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান উৎস। একজন-দুজন নয়, লাখো কোটি প্রাণীর জীবন-মরণের সঙ্গী পানি। পানির আরেক নাম জীবন, অথচ এই পানি, বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি আমাদের মাঝে থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের সবার জীবনের জন্য হুমকি। আর তাই এই হুমকি মোকাবিলায় প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

পিআইডি নিবন্ধন

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০