শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইথিওপিয়ার উত্তরের টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের রাজধানী আদ্দিস আবাবা দখলের আশঙ্কায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। মঙ্গলবার দেশটির সরকার টাইগ্রে বিদ্রোহীদের অভিযান ঠেকাতে এ জরুরি অবস্থা জারি করে। এর আগে বিদ্রোহীরা জানায়, তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলের আরও কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং এখন রাজধানী আদ্দিস আবাবা অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। খবর: রয়টার্স।
পূর্ব আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী টাইগ্রে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে দেশের নাগরিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের আহ্বান জানানোর দুদিন পর রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে জরুরি অবস্থা জারির খবর প্রকাশ করা হয়।
এর আগে আদ্দিস আবাবা কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের অস্ত্র নিবন্ধন এবং তাদের নিজ নিজ এলাকা রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছিল। গত কয়েক দিনে টিপিএলএফ বেশ কয়েকটি শহর দখলের দাবি করার পর জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা এলো।
টিপিএলএফ বলছে, বর্তমানে তারা রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণের এক শহরের দখল নিয়েছে। এখন তারা রাজধানী অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার কথা ভাবছে।
আবির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইথিওপিয়ায় সর্বশেষ ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। সে সময় কারফিউ জারি এবং জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়। আটক করা হয় হাজার হাজার মানুষকে।
আদ্দিস আবাবা কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের বাসিন্দাদের নিজের অস্ত্র নিবন্ধন এবং তাদের বসবাসের এলাকায় সংঘবদ্ধ হওয়া দরকার। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি এবং সমস্যা সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
টাইগ্রে অঞ্চলে এক বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে টিপিএলএফ বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘাতে উভয়পক্ষের প্রতি অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি, যে কারণে সেখানে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।