ক্রীড়া ডেস্ক: আবারও জ্বলে উঠলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গত পরশু জুভেন্টাসের বিপক্ষে পর্তুগিজ এ ফরোয়ার্ড গোল করলেন দুটি। দলকে দিলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব। তাতেই সিরি আ চ্যাম্পিয়নসদের ৪-১ গোলে হারিয়ে রেকর্ড টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট ঘরে তুললেন জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ১২ বার চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল। এর মধ্যে সান্তিয়াগো বার্নাবুর দলটিই প্রথম, যারা কি-না চ্যাম্পিয়নস লিগের নামকরণের পর ৬ বার শিরোপা জিতলো। এর আগে ৬ বার দলটি জিতেছিল ইউরোপিয়ান কাপ ট্রফি।
গত পরশু কার্ডিফে ম্যাচের ২০তম মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এক গোলেই দুটো রেকর্ড হয় লা লিগা চ্যাম্পিয়নসদের। এ মৌসুমে প্রতিটি ম্যাচেই অন্তত একটি গোল করেছে রিয়াল আর এটাই ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম পরিবর্তনের পর দলটির ৫০০তম গোল। অবশ্য গোল শোধ করতে সময় নেয়নি জুভেন্টাসও। ৭ মিনিট পরই মারিও মানজুকিচের অসাধারণ বাইসাইকেল কিকে সমতায় ফেরে দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে জুভেন্টাস রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখে রিয়াল। যার সুফলও পায় দলটি ম্যাচের ৬০তম মিনিটে। প্রায় ৩৫ মিটার দূর থেকে কাসেমিরোর শট স্যামি খেদিরার পা ছুঁয়ে জুভেন্টাসের জালে জড়িয়ে যায়। তাতেই ২-১ গোলে এগিয়ে যান জিদান শিষ্যরা। এর তিন মিনিট পরই ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দখলে নেওয়ার গোলটি করেন রোনালদো। ডান প্রান্ত থেকে মডরিচের দুর্দান্ত ক্রসে রিয়ালকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সিআর সেভেন।
এদিকে ৮৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা হুয়ান কুয়াদ্রাদো দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা অনেকটা শেষ হয়ে যায় জুভেন্টাসের। এরপর ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে ইসকোর বদলি হিসেবে নামা আসেনসিওর গোলে ৪-১-এ লিড নেয় রিয়াল। তাতেই এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়
জিদান শিষ্যদের।
গত বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর রিয়ালকে টানা দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতালেন জিদান। এ মৌসুমে ২০১২ সালের পর লা লিগার শিরোপাও পুনরুদ্ধার করলেন রোনালদোরা। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ কোচ আলেগ্রির ট্রেবল জেতা আর হলো না। ১৯৯৬ সালে শেষবারের মতো শিরোপা জেতার পর পাঁচবার ফাইনালে উঠে হারলো জুভেন্টাস।
গত পরশু ম্যাচটি আক্ষেপ হয়েই থাকলো জুভেন্টাস গোলরক্ষক বুফফনের জন্য। কেননা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে উঠেও একবারও শিরোপার দেখা পেলেন না ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।
Add Comment