শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিজেদের তৈরি তিন চিপ উম্মুক্ত করেছে চীনা টেক জায়ান্ট টেনসেন্ট। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো নিজেদের সেমিকন্ডাক্টরের (চিপ) উন্নয়ন সম্পর্কে প্রকাশ্যে জানাল এ চীনা ইন্টারনেট জায়ান্ট। খবর: রয়টার্স।
চীন চেষ্টা করছে নিজেদের চিপ সক্ষমতা বাড়াতে। গোটা বিষয়টিকে দেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য কৌশলী অগ্রাধিকার হিসেবেই দেখছে তারা।
বিশ্বের অন্যতম বড় গেমিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিস ‘উইচ্যাট’ও এনেছে টেনসেন্ট। এর আগে নিজেদের ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনতে চিপ ও ক্লাউড কম্পিউটিং খাতেও বিনিয়োগ করার খবর জানিয়েছিল তারা। টেনসেন্টের আনা চিপগুলোর মধ্যে ‘জিক্সিআও’ নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চিপ রয়েছে। এটি ছবি, ভাষা ও ভিডিও প্রক্রিয়াকরণে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, মানব ভাষা বুঝতে ও প্রক্রিয়াকরণে কম্পিউটারের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে এমন এআই ভয়েস অ্যাসিস্টেন্টের জন্য ব্যবহার করা যাবে চিপটিকে। টেনসেন্টের উšে§াচিত দ্বিতীয় চিপটি ‘ভিডিও ট্রান্সকোডিং চিপ’। ভিডিওকে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে রূপান্তরিত করে নেয়ার কাজে ব্যবহƒত হয় এ চিপগুলো। তৃতীয় চিপটিকে বলা হচ্ছে নেটওয়ার্ক কার্ড। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে সহায়তার কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে একে। সিএনবিসি বলছে, চীনের সব প্রযুক্তি জায়ান্টই সেমিকন্ডাক্টরের পেছনে বিনিয়োগ করছে। আগস্টে নিজেদের দ্বিতীয় প্রজšে§র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর চিপ নিয়ে এসেছে বাইদু। গত মাসে আলিবাবাও সার্ভার ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য তৈরি চিপ নিয়ে এসেছে।
তবে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নিজ নিজ চিপের নকশা করতে পারছে। উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনের অন্যান্য অংশের জন্য এখনও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নিজেদের চিপ কোথায় তৈরি করছে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি টেনসেন্ট।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে চীনের প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি করছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে চীনের বাইরে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়েছে কোম্পানিগুলো। এছাড়া চীনের শীর্ষ আবাসন কোম্পানি এভারগ্র্যান্ডের ওপর খড়্গহস্তের কারণে চীনের বেসরকারি কোম্পানিগুলো কোণঠাসা হয়ে রয়েছে।