শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বেশ কয়েকজন আহত হলেও তিনি অক্ষত রয়েছেন। গতকাল রোববার ভোরে দেশটির রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে খাদিমির বাসভবনে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনটি রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত। তবে সুরক্ষিত এলাকা হলেও বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন দিয়ে হামলার মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে হামলার পর তিনি অক্ষত আছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন মোস্তফা আল-খাদিমি। অবশ্য সংবাদমাধ্যমগুলো আগে জানিয়েছিল, ড্রোন হামলার পর ইরাকের প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
হামলার পর টুইটারে দেয়া এক বার্তায় মোস্তফা আল-খাদিমি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। ইরাকের স্বার্থে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন তিনি।
এদিকে কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইরাকের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-খাদিমির বাসভবনকে লক্ষ করেই এই হামলা চালানো হয়েছে এবং তিনি নিরাপদ ও ভালো আছেন। বিবৃতিতে এর বেশি কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
ইরাকের দুই সরকারি কর্মকর্তা জানান, ড্রোন হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কমপক্ষে একটি বিস্ফোরণ হয় এবং মোস্তফা আল-খাদিমি নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, মোস্তফা আল-খাদিমির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের ছয় সদস্য বাসভনের বাইরে দায়িত্বপালন করছিলেন এবং ড্রোন হামলায় তারা সবাই আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বাগদাদের ওই গ্রিন জোনে বহুসংখ্যক সরকারি দপ্তর ও বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত। এমন সুরক্ষিত এলাকায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ড্রোন হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
গত বছরের মে মাসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোস্তফা আল-খাদিমি। এর আগে তিনি দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানপন্থি সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সমর্থকরা বাগদাদের গ্রিন জোনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সেসময় তারা ইরাকের সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের বিরোধিতা করেন। কারণ সর্বশেষ নির্বাচনে ইরাকের পার্লামেন্টে কিছু ক্ষমতা হারিয়েছেন ইরানপন্থিরা।
