নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারিতে চারটি জাহাজ ভাঙা কারখানায় শুল্ক আদায় কর্তৃপক্ষের অভিযানে ‘সামাজিকভাবে হেয়’ করার অভিযোগ তুলে দুদিন ধরে সব ইয়ার্ডে কাজ বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।
গতকাল সকাল থেকে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়শেনভুক্ত (বিএসবিআরএ) সীতাকুণ্ডের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপকূলে বিএসবিআরএ অধিভুক্ত দেড়শ ইয়ার্ড থাকলেও বর্তমানে কাজ চলছিল ৬০টিতে। এসব ইয়ার্ডে প্রায় ২০ হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম বলেন, কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাটিয়ারি এলাকায় চারটি ইয়ার্ডের অফিসে অভিযান চালায়।
ইয়ার্ডগুলো হলোÑভাটিয়ারি স্টিল, এসএন করপোরেশনের তিনটি ইউনিট, মাহিনুর শিপব্রেকিং ইয়ার্ড ও প্রিমিয়ার ট্রেড করপোরেশন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিনা নোটিসে অভিযান চালিয়ে কারখানাগুলোর বিভিন্ন নথিপত্র এবং কম্পিউটার জব্দ করেছে। শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো অগ্রিম ভ্যাট দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সরকারের সব ধরনের নিয়ম মেনেই তারা জাহাজ আমদানি থেকে শুরু করে সব কাজ করে। অথচ অ্যাসোসিয়েশন এবং ইয়ার্ড মালিকদের কোনো কিছু অবহিত না করেই অভিযান চালায়।’
অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী সচিব বলেন, ‘এতে ইয়ার্ড মালিকরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। তাই বিএসবিআরএ বুধবার সকাল থেকে ইয়ার্ডের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রেখেছে।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মো. তারেক রিকাবদার বলেন, নিয়ম মেনেই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ‘ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি অথবা তাদের কাছে এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও চাইতে পারি। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রয়ের হিসাব নিতে গিয়েছিলাম। আমরা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করব। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা কারও সঙ্গে কোনো অসৌজন্যতা করিনি। এতে কারও সংক্ষুব্ধ হওয়ার কিছুই নেই।’