শেয়ার বিজ ডেস্ক: বায়ুদূষণে নাকাল ভারতের দিল্লির বাসিন্দারা। দূষণ কমাতে এরই মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য দিল্লির সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। অপ্রয়োজনে বাসিন্দাদের ঘরের বাহিরে যেতেও নিষেধ করা হয়। এবার সম্পূর্ণ লকডাউনে প্রস্তুত দিল্লি। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে দিল্লির রাজ্য সরকার বলেছেন, দূষণের দাপটে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হতে পারে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। খবর: এনডিটিভি, বিবিসি।
দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা কমাতে সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই গতকাল এ হলফনামা দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় পর্যায়ে দূষণের মাত্রা কমাতে সম্পূর্ণ লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত দিল্লি। তবে এ উদ্যোগ তখনই সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হবে যখন সমগ্র জাতীয় রাজধানী ক্ষেত্র (এনসিআর) এবং তার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতেও একই পদক্ষেপ নেয়া হবে। দিল্লির যে আয়তন, তাতে শুধু সেখানে লকডাউন জারি করলে তার প্রভাব কমই অনুভূত হবে।’
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘যদি কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে যদি জাতীয় রাজধানী ক্ষেত্র এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যে এমন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়, তাহলে দিল্লির রাজ্য সরকারও একই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে রাজি আছে।’
আরও জানানো হয়, প্রকাশ্যে আবর্জনা পোড়ালে জরিমানা করা হবে। যাতে মানুষজন ঘর থেকে না বেরোন, তার জন্য আরও কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
এর আগে রোববার দিল্লিতে সাত দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। পাশাপাশি, সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লিতে সমস্ত নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দিপাবলি-পরবর্তী সময়ে দিল্লি ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ার কারণেই এ নির্দেশ। এমনটাই তখন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপাতত সোমবার অর্থাৎ ১৫ তারিখ থেকে পরবর্তী সাত দিনের জন্য এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে নির্মাণকাজ, যেগুলো থেকে প্রবল ধুলা ছড়ায়, সেগুলো আপাতত ১৪ তারিখ থেকে বন্ধ রাখতে বলেছে দিল্লি সরকার।
শনিবার দূষণে ঢাকা দিল্লি নিয়ে কেজরিওয়াল সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের শীর্ষ আদালত। দিল্লি সরকারের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে এ দূষণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিতেও বলা হয়।
