তৃতীয় প্রান্তিকে জাপানের প্রবৃদ্ধি কমেছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিডের লকডাউনের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল বিপর্যয়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাপানের আর্থিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সংকুচিত হয়েছে। গতকাল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বর শেষে জাপানের প্রাথমিক জাতীয় দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক আট শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যেখানে অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল, সরবরাহ ঘাটতির কারণে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হতে পারে। খবর: রয়টার্স, আল জাজিরা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কভিড সংক্রমণ কমে আসায় জাপানের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু বৈশ্বির সরবরাহ বিপর্যয়ে রপ্তানিনির্ভর দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্রুতই হ্রাস পেয়েছে। যদিও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে জাপানের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, কিন্তু তৃতীয় প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি সংশোধন করে বর্তমান দেশটির জিডিপি তিন শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে নরিনচুকিন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ তাকেশি মিনামি বলেন, সরবরাহ ঘাটতির কারণে সংকোচনটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল, যা গাড়ির প্রবৃদ্ধি ও মূলধন ব্যয়কে কঠোরভাবে প্রভাবিত করেছে। আশা করি পরবর্তী প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। তবে পুনরুদ্ধারের গতি ধীর হবে, কারণ সেপ্টেম্বর শেষে কভিডের শিথিলতা তুলে দেয়া হলেও উৎপাদন ভালোভাবে শুরু করা যায়নি। 

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা প্রবৃদ্ধি বাড়াতে আগামী শুক্রবার ‘কয়েক ট্রিলিয়ন ইয়েন’-এর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, চতুর্থ প্রান্তিকে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

গতকাল প্রকাশিত সরকারি নথিতে দেখা যায়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে নাগরিকদের ব্যয় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধির পর তৃতীয় প্রান্তিকে এক দশমিক এক শতাংশ ভোক্তাব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া আগের প্রান্তিকে মূলধন ব্যয় দুই দশমিক দুই শতাংশ সংশোধনের পর সেপ্টেম্বর শেষে মূলধন ব্যয় তিন দশমিক আট শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

চিপ সংকট ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে রপ্তানি হ্রাসের পর তৃতীয় প্রান্তিকেও দুই দশমিক এক শতাংশ রপ্তানি কমেছে। যদিও বিশ্লেষকদের ধারণা ছিল ভোক্তাব্যয় বৃদ্ধি এবং গাড়িশিল্পের উৎপাদন বাড়লেও এ প্রান্তিকে জিডিপি পাঁচ দশমিক এক শতাংশ হবে। তবে জাপানি শিল্পকারখানাগুলোয় ঝুঁকি ও কাঁচামালের খরচ কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। 

নমুরা ইনস্টিটিউটের প্রধান ও জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক অর্থনীতিবিদ তাকাহিদো কিয়াচি বলেন, ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধের আগে জাপানের প্রকৃত জিডিপি মহামারিপূর্ব পর্যায়ে আসার কোনো উপায় দেখছি না।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০