কুমারখালীতে চলছে ধান কাটা

প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ধান কাটার ধুম পড়েছে। চারদিকে পাকা ধানের ম-ম গন্ধ। কয়েকদিন আগে সবুজে ঘেরা ছিল এসব মাঠ। এখন সেখানে পাকা ধানে ভরপুর। মাঠে মাঠে এখন হলদে সোনালি পাকা আমন শোভা পাচ্ছে। পাকা ধানের সুবাসে কৃষকরা স্বপ্ন বুনছেন।

সরজমিন দেখা যায়, কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির আঙিনায়। কৃষকের আঙিনায় শুধু ধান আর ধান, যেন দম ফেলার সময় নেই। ফলে কর্ম ব্যস্ততায় দিন কাটছে কৃষকদের। আমনের গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। বাম্পার ফলন হওয়ায় আর বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

এ বিষয়ে কৃষকরা বলেন, এবার সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া অনেকে ধানের পরিবর্তে অন্য ফসলের চাষ করেছেন। তবে এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা এখন ধান কাটায় ব্যস্ত। শ্রমিক নিয়ে এবার তেমন কোনো সমস্যা নেই।

কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধানের বাজার ভালো। তাদের আশা, এবার ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৪৮ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ১৪ হাজার ১৫ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার হাজার ৩৩ হেক্টর কম। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জিকে খালে পানি থাকায় কৃষকরা পানি সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই ধানের পরিবর্তে অনেকে সবজি ও ডাল চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

চলতি বছর উপজেলায় আট হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিন হাজার ২০০ হেক্টর বেশি। এছাড়া মাষকলাই ডাল ৩৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর বেশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনের ফল পাবেন কৃষকরা। আবার বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায়ও লাভবান হবেন কৃষকরা।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০