ক্রীড়া ডেস্ক: আর্জেটাইন ফুটবল ঈশ্বর প্রয়াত ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন মেইভিস অ্যালভারেজ রেগো নামের এক কিউবান নারী।
সম্প্রতি এক আর্জেটাইন এনজিও এই বিষয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে।
জানা যায়, প্রায় ২১ বছর আগে মাদক নিরাময়ের জন্য কিউবাতে ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সে সময় ১৬ বছর বয়সী মেইভিস অ্যালভারেজের রেগো নামের কিউবান তরুণীর সাথে পরিচয় হয়। পারস্পারিক পরিচয়ের পর ডিয়েগোকে ভালোবাসতে থাকেন সে নারী।
বর্তমানে মিয়ামিতে বসবাস করা দুই সন্তানের জননী ৩৭ বছর বয়সী মেইভিস বলেন, ‘ডিয়েগোর প্রতি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সে আমাকে পুরোপুরি জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু তার কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।’
তিনি বলেন, তাদের সম্পর্ক টিকেছিল ৫ বছর। তবে এ সময়ের পুরোটাই তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তাকে কোকেইন সেবন করানোর চেষ্টাও করেছিলেন। ২০০১ সালে ম্যারাডোনার সঙ্গে তিনি বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে বহুদিন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল হোটেলের ঘরে। এমনকি তার স্তনবৃদ্ধিকরণের অস্ত্রোপচারও করা হয়। এসময় ম্যারাডোনা তার হাভানার বাড়িতে একবার তাকে ধর্ষণ করেছিলেনও বলেও দাবী করেন মেইভিস। এর বাইরে অনেকবার শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে তাকে।
মেইভিস বলেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসতাম, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণাও করতাম। এমনকি তার জন্যে আমার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাও খেলে যেত তখন।’
এদিকে প্রয়াত এই ফুটবল কিংবদন্তীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলাও করা হয়েছে। সে মামলা অবশ্য মেইভিস নিজে করেননি। ‘ফাউন্ডেশন ফর পিসের’ মাধ্যমে এক আর্জেন্টাইন এনজিও এ মামলা করে। মামলায় মানবপাচার, স্বাধীনতা খর্বকরণ, জোরপূর্বক দাসত্বে বাধ্য করা, ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মাত্র ৬০ বছর বয়সে বুয়েনার্স আয়ার্সে নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
এদিকে প্রয়াত এই ফুটবল কিংবদন্তীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলাও করা হয়েছে। সে মামলা অবশ্য মেইভিস নিজে করেননি। ‘ফাউন্ডেশন ফর পিসের’ মাধ্যমে এক আর্জেন্টাইন এনজিও এ মামলা করে। মামলায় মানবপাচার, স্বাধীনতা খর্বকরণ, জোরপূর্বক দাসত্বে বাধ্য করা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মাত্র ৬০ বছর বয়সে বুয়েনার্স আয়ার্সে নিজ বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা।