নারীর প্রতি বৈষম্য: প্রসঙ্গ বাংলাদেশ

গাজী শরীফা ইয়াছমিন: রিয়া ও তার স্বামী আসিফ একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। রিয়া সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারা দুজনই একটি সুস্থ সন্তানের জন্য প্রার্থনা করে এসেছে প্রথম থেকেই। রিয়াকে দেখাশোনার জন্য কিছুদিন হলো রিয়ার মা এসেছেন গ্রাম থেকে। বিভিন্নভাবে তিনি রিয়াকে বোঝান ছেলেসন্তান বংশের প্রদীপ, বৃদ্ধ বয়সের লাঠি, শ্বশুরবাড়িতে এতে থাকে বাড়তি কদর! রিয়া অবাক হয়ে ভাবে, সে নিজে একমাত্র সন্তান হয়ে এ পর্যন্ত মা-বাবার সব দায়িত্ব পালন করে এসেছে। সেখানে তার নিজের মায়ের এমন কথার কোনো কিনারা করতে পারে না সে।

ঘরে ছেলেসন্তান জন্ম নিলে কেবল গ্রাম নয়, শহরেও অনেক পরিবার গর্ববোধ করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েসন্তানের জন্মের পর পরিবার ও সমাজের লোকদের কথায় জর্জরিত হয় নবজাতকের মা। এ রকম পারিবারিক পরিমণ্ডলে ছেলেশিশু মেয়েশিশুর চেয়ে স্বাধীনতা এবং মানসিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বেশি পেয়ে থাকে। সে নিজেকে তার মা, বোন বা খেলার সাথি মেয়েটির তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শিখে যায়। এই শিক্ষা ক্রমান্বয়ে পরিবার থেকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে।

একসময় এ দেশের নারীদের ঘরের বাইরের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করার মতো মানসিকতা বা পরিবেশ ছিল না। আবার পরিবার ও কর্মক্ষেত্রেও অনুকূল পরিবেশ ছিল না নারীদের জন্য। বর্তমানে নারীদের মানসিকতার পরিবর্তনের পাশাপাশি তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের হারও অনেক বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরি, ব্যাংক, কৃষি, ব্যবসায়িক উদ্যোগসহ নানা ক্ষেত্রে তারা সাফল্যের সঙ্গে অংশগ্রহণ করছে। ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি, নারীর প্রতি বৈষম্য কমাতে সরকার গৃহীত নানা উদ্যোগ, কর্মক্ষেত্রে নারীদের হয়রানি বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র স্থাপন, ব্যবসার জন্য কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থাসহ নানা কারণে নারীরা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে।

২০২১ সালের মার্চে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট ও মিত্তাল ফাউন্ডেশনের ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ: ফিরে দেখা ও ভবিষ্যৎ’ শিরোনামের অনলাইন আয়োজনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে নারী শিক্ষার হার ও ঘরের বাইরে কাজে অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি পুরোপুরি। বরং নারীর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। ধর্ম, এলাকা, সম্প্রদায়ভেদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে নারীরা এখনও। এই বৈষম্যের প্রধান কারণই জেন্ডার। ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে বৈষম্য এবং সহিংসতাকে প্রতিহত করতে নারীদের কৌশলী হতে হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নারীরা সামনে এগিয়ে এসেছে ঠিকই, কিন্তু তারা প্রকৃত মুক্তি ও ন্যায়বিচার পাচ্ছেন কি না, তা আলোচনার বিষয়।

সাম্প্রতিক সময়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, করোনাকালে লকডাউন ও এর পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৈষম্য টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন, মধ্যম আয়ের মর্যাদা লাভ ও লিঙ্গবৈষম্যের চ্যালেঞ্জকে দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: নারীর মানবাধিকার’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভার আলোচনায় বক্তারা বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ দমনে এবং দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তারের সুযোগ রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ পাস হয়। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে ২০২১ সালে এসে আইনটি অপরাধ দমনে বিস্তৃত ভূমিকা রাখতে পারছে না। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাইবার দুনিয়ায় নারীরা নানাভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। তাদের প্রতি সংঘটিত হচ্ছে নানা অপরাধ।

‘কৃষিশ্রম অধ্যাদেশ, ১৯৮৪’-এ নারী-পুরুষ উভয়ের ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে তিন দশমিক ২৪ কিলোগ্রাম চাল অথবা সমপরিমাণ টাকা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করা আছে, যা এখনকার বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কৃষিশ্রম অধ্যাদেশ যুগোপযোগী করে নারী ও পুরুষ উভয়ের সমমজুরি টাকার অঙ্কে পুনর্নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।

সরকারের কৃষিতথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, কৃষিতে নারীরা যে শ্রম দেয়, তার ৪৫ দশমিক ছয় শতাংশের ক্ষেত্রে তারা কোনো পারিশ্রমিক পায় না। আর বাকি ৫৪ দশমিক চার শতাংশের ক্ষেত্রে তারা যে পারিশ্রমিক পায়, তা বাজারমূল্যের চেয়ে কম। ২০১২ সাল থেকে কেয়ার বাংলাদেশে পাথওয়েজ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক এবং পাশাপাশি কৃষি খাতে নারী শ্রমিকদের মজুরিবৈষম্যের কারণে প্রতিবছর একজন নারী প্রায় ২৪ হাজার টাকা কম উপার্জন করছে। এছাড়া কৃষিপণ্য বাজারজাত করার আগে প্রক্রিয়াকরণের যে ২২টি ধাপ রয়েছে, তার প্রায় ১৭টি ধাপে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। তাই কৃষি খাতসহ আমাদের যাবতীয় গৃহকাজেও নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়া প্রয়োজন।

১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন যে ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়, সেখানে দেখা যায়, এ ঘোষণায় নারীর বিশেষ কিছু অধিকার উপেক্ষিত হয়েছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, অগ্রগতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালকে ‘বিশ্ব নারী বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭৬-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এই এক দশক সময়কে নারী উন্নয়ন দশক ঘোষণা করা হয়। এই উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ‘নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ’ গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার ধারা ২, ১৩(ক), ১৬(গ) ও ১৬(চ) সংরক্ষণ করে ১৯৮৪ সালে এই সনদটি অনুমোদন করে। পরবর্তীকালে ১৯৯৭ সালের ২০ জুলাই ধারা ১৩(ক) ও ১৬(চ)-এর ওপর থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে নেয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে কয়েকটি অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে নারীর মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অনুচ্ছেদে ২৭ অনুযায়ী, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। অনুচ্ছেদে ২৮(১)-এ উল্লেখ আছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জš§স্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। ২৮(২) অনুচ্ছেদে রয়েছে, রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষ সমান অধিকার লাভ করবেন। ২৮(৩)-এ আছে, কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জš§স্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে ‘কোনো নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাবে না। ২৮(৪) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না’। সংবিধানের ২৯(১) অনুচ্ছেদে আছে, ‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের সমতা থাকবে।’ ২৯(১) অনুচ্ছেদে আছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জš§স্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মের নিয়োগ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না, কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাঁহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদের বলা আছে, নারীর প্রতিনিধিত্ব করার কথা। নারীর জন্য জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে এবং ৯ অনুচ্ছেদের অধীনে স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি পূর্ণরূপে বিশ্বস্ত থাকলে নারীর প্রতি কোনোরকম বৈষম্য থাকার বা বৈষম্যমূলক কোনো আচরণ করার সুযোগ নেই।

যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারীসমাজের ভাগ্যোন্নয়ন করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবারের মতো জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়ন, সম-অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি পুনর্বহাল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১’ প্রণয়ন করেছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হবে মেহনতি মানুষকে, কৃষক ও শ্রমিককে এবং জনগণের অনগ্রসর অংশসমূহকে সকল প্রকার শোষণ হতে মুক্তি দান।’ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(খ) এ কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে বলা হয়েছে, ‘কর্মের অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসংগত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার।’

‘জাতীয় শ্রম নীতিমালা, ২০১২’-তে লক্ষ্য হিসেবে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে বলা আছে, ‘বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সকল কর্মক্ষম নাগরিকের জন্য উৎপাদনমুখী, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, শোভন, নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সকল ক্ষেত্রে শ্রমিকের অধিকার ও শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা।’ শ্রম আইনের ৩৪৫ ধারার মূলবার্তা হচ্ছে, নারী, পুরুষ কিংবা প্রতিবন্ধী নির্বিশেষে সমকাজের জন্য সমান মজুরি নির্ধারিত হবে, এক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।

বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী, মন্ত্রিপরিষদে চারজন নারী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী, সংসদে সরাসরি নির্বাচিত ২২ জন এবং সংরক্ষিত ৫০টি আসনে রয়েছে নারী। এছাড়া দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় জেলাপ্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী। সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন ১০ জন। পুলিশ প্রশাসনে পাঁচজন ডিআইজি ও ৬৯ জন পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নারী। বিচার বিভাগে অনেক ক্ষেত্রেই জেলা জজের দায়িত্ব পালন করছেন নারী। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন নারী। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদান রাখছেন নারী, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোয় প্রতিনিধিত্ব করছেন নারী, বিভিন্ন এনজিওতে নারী, সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন নারী।

বর্তমানে নারী-পুরুষের বৈষম্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন সামাজিক সূচকে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। যদিও কাক্সিক্ষত অগ্রগতি পর্যায়ে আমরা পৌঁছাতে পারিনি এখনও। এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সর্বপ্রথম পরিবারকেই এগিয়ে আসতে হবে। পরিবারে সন্তানদের মধ্যে কোনো পার্থক্য বা বৈষম্য সৃষ্টি করা যাবে না। সাইবার দুনিয়াসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ, রাস্তাঘাট, যানবাহন, কর্মস্থল, বিনোদনকেন্দ্র, পর্যটনকেন্দ্রÑসবকিছুই নারীবান্ধব করতে হবে। সব স্থানে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নারী-পুরুষের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় আইনের কঠোর প্রয়োগ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে নারীদের অগ্রগতিকে সমুন্নত ও টেকসই করার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় বিধি ও নীতিমালাও প্রণয়ন করতে হবে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য রোধে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করতে হবে নারীর ভাগ্যোন্নয়নে। প্রয়োজন শুধু সবার এগিয়ে আসা আর হাত বাড়িয়ে দেয়া আমাদের।

পিআইডি নিবন্ধন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০