শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের পর কভিডের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ এবার ভারতে শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতে প্রথমবারের মতো দুজনের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২৫টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। খবর: রয়টার্স, এনডিটিভি।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগারওয়াল বলেছেন, ভারতে প্রথম যে দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, তারা কর্ণাটকের বাসিন্দা। তাদের বয়স যথাক্রমে ৬৬ ও ৪৬ বছর। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় তাদের পরিচয় এখন প্রকাশ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ওমিক্রন-আক্রান্ত দুজনের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের সবাইকে শনাক্ত করার পর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগারওয়াল বলেছেন, ‘ওমিক্রন শনাক্তকরণে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু সচেতনতা একেবারে জরুরি। কভিড-১৯ আচরণবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করুন এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।’
যুক্তরাষ্ট্রেও ওমিক্রন শনাক্ত: এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো কভিডের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তির শরীরে করোনার ওমিক্রন ধরনের নমুনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন।
গতকাল সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত ২২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছিলেন এক ব্যক্তি। প্রাথমিক পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি। পরে গত ২৯ নভেম্বর দ্বিতীয় টেস্টে তার করোনা ধরা পড়ে। এরপর জিনোম পরীক্ষায় দেখা যায়, তার শরীরে ওমিক্রন ধরন আছে। এদিকে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে সরকারি আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন জানিয়েছে, ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির দুটি টিকা নেয়া আছে। তবে
তিনি এখনও বুস্টার ডোজ নেননি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান স্বাস্থ্যবিষয়ক পরমার্শদাতা অ্যান্থনি ফাউসি জানিয়েছেন, বুস্টার ডোজ যাদের নেয়া নেই, ওমিক্রনের সামান্য প্রভাব ঘটছে তাদের শরীরে। অল্প অল্প উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তবে রোগীরা সুস্থও হয়ে উঠছেন।
ফাউসি জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ওমিক্রন প্রথম পাওয়া গেল। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি যাদের সঙ্গে মিশেছেন তাদের কারও শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
ওমিক্রন ধরন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আবার দেশের বাইরে যাতায়াতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। বিদেশ থেকে যারা আসছেন, তাদের নেগেটিভ সনদ দেখা হচ্ছে। বিদেশি যাত্রীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোয় নেমে করোনা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।
