নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর পতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে আরামিট সিমেন্ট। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৭১ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৫৯ লাখ এক হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৫৯ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৭২ হাজার ৬৭৪টি
শেয়ার মোট ৫৩৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫২ লাখ ৭০ হাজার
টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৩২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ৬৪ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১৯ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ পয়সা।
সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে তিন টাকা ১৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৪৭ দশমিক ১৪ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে দর পতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৮ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। দর পতনের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপরের অবস্থানে থাকা এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৫ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ শতাংশ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফাইন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের আট দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।