নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আজ ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে চার টাকা ৬২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামীকাল বুধবার।
এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে আট টাকা পাঁচ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা দুই পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ৫৬ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৮৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮৩ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৭ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার ৬০৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৫৫ টাকা থেকে ৩৬৯ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট এক কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ৬১৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৭ দশমিক ১৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।