ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল বন্ধ করার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি দিতে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল বন্ধ করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।

গতকাল সোমবার এক চিঠিতে তিনি বলেন, দেশের জিডিপিতে চট্টগ্রামের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৮২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। ভৌগোলিক অবস্থান এবং বন্দর ও অবকাঠামো সুবিধার কারণে ইস্পাত, সিমেন্ট, রড, শিপবিল্ডিং, রিসাইক্লিং প্রভৃতি বৃহৎ শিল্পকারখানা এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে। খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, আছাদগঞ্জ ও কোরবানীগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার এবং পাহাড়তলী এলাকায় চালের পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। সারাদেশে স্থাপিত বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল এবং বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত সব ধরনের পণ্য চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহন করা হয়। 

চিঠিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের মহাসড়কে ২০১৮ সালে ১৩ টন ওজনের বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল চালু করা হয়। এর ফলে চট্টগ্রাম থেকে পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে ওজন স্কেল না থাকায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হন। সরকারের কাছে এই ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল বাতিল করার জন্য বারবার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন সারাদেশের মহাসড়কে একই ধরনের ওজন স্কেল স্থাপন করা হবে মর্মে সরকারিভাবে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের জানানো হয় বলে তিনি পত্রে উল্লেখ করেন।

এ প্রেক্ষাপটে, বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা, ঐতিহ্যবাহী খাতুনগঞ্জ-চাক্তাই পাইকারি বাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রামে স্থাপিত বৃহৎ শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষায় চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে বিদ্যমান ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল প্রত্যাহার করার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০