নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ১২ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে গেল সপ্তাহের বাজার মূলধন কমেছে এক শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে আর গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৮৬৮ দশমিক ১৭ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৩ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৬২ দশমিক ৩১ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৪৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে দুই হাজার ৫৮৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ২৯৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল আট কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি চারটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৯৩৩ কোটি ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৫৪ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার সাত কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার ৭৩৩ কোটি আট লাখ ৯৫ হাজার ৮১৬ টাকা। আগের সপ্তাহে যা ছিল পাঁচ হাজার ৩৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার কমেছে, যা শতাংশের হিসেবে ২৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ডিএসইতে গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৫৯০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে এক শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ইস্টার্ন লব্রিক্যান্টস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার টাকা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৪১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ফরচুন শুজ লিমিটেডের বেড়েছে ১৬ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ফার্মা এইডস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড। আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। লেনদেনের এ তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ফরচুন শুজ লিমিটেড, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড এবং সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
