নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মাধবদী পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-২-এর বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জনা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মাধবদী পাওয়ার প্লান্ট ইউনিট-২ এর বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ গত ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়ায় প্লান্টের উৎপাদন গত ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে সামিট পাওয়ার ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ২৯ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা।
সামিট পাওয়ার ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।