ফারইস্টের সাবেক সিইও হেমায়েতকে নিয়োগ না দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অনিয়মের দায়ে বহিষ্কৃত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হেমায়েত উল্লাহকে কোনো বিমা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। গতকাল আইডিআরএ থেকে এ নির্দেশনা-সংক্রান্ত চিঠি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও বরাবর পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের বিগত কয়েক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে এবং বিভিন্ন পত্রিকায় নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে।

‘হেমায়েত উল্লাহ ২০১১ থেকে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই কোম্পানিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মুখ্য নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিমা আইন, ২০১০ ও বিমা আইনের বিভিন্ন বিধিবিধান অনুযায়ী কোম্পানি পরিচালনা করার জন্য দায়ী থাকবেন মর্মে তার নিয়োগপত্রে সুস্পষ্টভাবে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু তার দায়িত্বকালে কোম্পানিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে মর্মে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়, যার জন্য তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী।’

তাছাড়া তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রেখে এবং মিথ্যা তথ্যসংবলিত সম্পদ বিবরণী সরকারের কাছে দাখিলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে এবং তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করার তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, হেমায়েত উল্লাহর এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিমাশিল্পের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। ওই কোম্পানিতে বিমা পলিসি গ্রাহকরা তাদের ন্যায্য দাবি পাচ্ছে না। ফলে জনমনে বিমাশিল্পের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে এবং বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ব্যবসা আহরণে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

চিঠিতে এসব তথ্য তুলে ধরে বিমাশিল্প তথা বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় এবং দুদক ও কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং কর্তৃপক্ষ থেকে অনাপত্তি গ্রহণ ব্যতিরেকে হেমায়েত উল্লাহকে কোনো বিমা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সিইও থেকে হেমায়েত উল্লাহকে অপসারণ করে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গ্রাহকের পলিসির টাকা আত্মসাৎ এবং বিমাকারীর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর ও পরিপন্থি কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তাকে অপসারণ করা হয়। বিমা গ্রাহকদের অভিযোগ ও অনিয়মের তথ্যাপ্রমাণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০