নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের অস্বাভাবিক শেয়ারদর বৃদ্ধিতে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানিটিকে সতর্কবার্তা পাঠায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর জবাবে শেয়ারদর বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৫ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা। আর গত ২৭ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ টাকায়। অর্থাৎ এই ৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪৭ শতাংশ বা পাঁচ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ৩৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯১টি শেয়ার মোট দুই হাজার ১০৫ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৪৬ কোটি আট লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৭৭ টাকা থেকে ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ৫০ দশমিক ২১ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৭ দশমিক ৭১।
‘এ’ ক্যাটেগরির বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৮ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৮ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
