নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতি করলে সরকারি আমলা-কর্মকর্তাদেরও শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, দেশে বড় মেগা প্রকল্পগুলোয় কিছু দুর্নীতি হয়। তবে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিরোধী দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা হয়তো এটা বলতে পারে যে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। কিন্তু এটা বলতে পারে না যে, নির্বাচন হতে দেব না। নির্বাচন কমিশন এখানে দুটি দলের মধ্যে রেফারির মতো কাজ করে। তাদের যদি সেই রেফারির প্রতি বিশ্বাস না থাকে তবে কথা বলতে হবে, চুপ করে থাকা যাবে না।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা এখনও দাসত্বের মানসিকতায় পড়ে আছি। সেখান থেকে বের হয়ে আমাদের নিজেদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বক্র, তা আরও সুন্দর করতে হবে। বিজ্ঞান, আধুনিকতা, প্রযুক্তির দিকে এগোতে হবে আমাদের এই একুশ শতকে।’
‘এলডিসির গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি’ নিয়ে এছায়া সংসদে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন। এর মধ্যে- বিকাশমান ওষুধ শিল্পে পেটেন্ট সুবিধা বাড়ানোর জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা; এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করে বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমানো; রাজস্ব আহরণে বৈচিত্র্যতাসহ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি করা; বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে মানোন্নয়ন প্রতিবেদন তৈরি করে মানব সম্পদ উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা; ব্যাংকিংসহ পুরো আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে খেলাপি ঋণ কমানো; বাংলাদেশের লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিরোধী দল হিসেবে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশ নেন। এতে বিজয়ী হয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।