নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিডে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনেও আক্রান্ত হয়েছে দেশ। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সারাদেশে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জনসমাগমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ, কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্তোরাঁয় মানুষের উপস্থিতি ধারণক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে।
গতকাল বিকালে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো দেশের বন্দরগুলোয় ওমিক্রন-আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। বাড়ির বাইরে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক বসে খেতে পারবে।
সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি প্রভৃতি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক অংশ নিতে পারবে। মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবাদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। যারা এখনও কভিড টিকা নেননি, টিকাকেন্দে গিয়ে তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। কভিডের উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কভিড রোগীদের আইসোলেশন এবং কভিড রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
কভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা ও তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করতে হবে। অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
টিকা নেয়া থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং এবং প্রচার চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।