পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু বিপর্যয় সম্পর্কিত বিষয় অর্ন্তভূক্তের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে সারা বিশ্বের প্রাণ-প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও বিমানের ব্যবহার, কয়লা এবং তেল নির্ভর বিদুৎসহ আরো নানা কারণে আমাদের পৃথিবী প্রতিনিয়ত উত্তপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, জি-২০ দেশগুলোর লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ এবং মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এই অবস্থার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। তবে এই বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মতো প্রান্তিক দেশগুলো। যার কারণে বাংলাদেশের এক কোটি নব্বই লাখেরও বেশি শিশু সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব শিশুর এক-চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম।

রোববার (৯ জানুয়ারী) সকালে ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক এর যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডির আবাহনী খেলার মাঠের সামনে ‘পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু বিপর্যয় ও বিপর্যয় রোধে করনীয় বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত করার আহ্বান’ শীর্ষক মানবন্ধন থেকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক এর নেটওয়ার্ক অফিসার শান্তনু বিশ্ব এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টামর্ফোড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর পলিসি অফিসার আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা, স্টপ এমিশনস নাও বাংলাদেশ এর সদস্য সচিব মঞ্জুর হাসান দিলু ও প্রতিনিধি সামিউল হাসান সজিব, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার বরনী দালবত, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল এর প্রধান শিক্ষক এম এ মান্নান মনির, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষক মো তাহাজ্জত হোসেন ও পরিমল মধু, বায়োস্কোপ বাংলাদের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন সহ ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্ধ।

এসময় বক্তারা বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাব মোকাবেলায় এবং বিপর্যয় রোধে করনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কপ২৬ অনুষ্ঠিত হলেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বিশ্বনেতারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে এবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপী প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব যখন বিনাশের পথে এখনও জি-২০ দেশের নেতারা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। যার কারণে বাংলাদেশের মত সমুদ্র উপকূলের দেশসমূহের জন্য এ বিপর্যয় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

আইপিসি তাদের প্রতিবেদনে আরও আশঙ্কা জানিয়েছে যে, এই শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যেতে পারে। দেশের ১৯টি জেলার প্রায় ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে গৃহহীন হবে প্রায় দুই কোটি মানুষ। এছাড়াও বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চল জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণে মরুকরণ ত¦রাণিত হচ্ছে। এসবের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদন, সুপেয় পানির সংকট দেখা দিবে, বাড়ছে নিত্যনতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসুখ-বিসুখ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘরহারা মানুষের সংখ্যা। ফলাফল হিসেবে শহরাঞ্চলে বস্তিবাসীর সংখ্যাও বাড়ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০