আশিকুল ইসলাম, জবি: দায়িত্ব গ্রহণের পর ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অনৈতিক কাজ বন্ধের উদ্যোগ নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এর ধারাবাহিকতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কথা চিন্তা করে টিএসসির সব দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে তারা। টিএসসিতে বিদ্যমান দোকানপাটের জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের আড্ডার জন্য বিনোদন পার্কের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পূর্বনির্দেশনা অনুযায়ী টিএসসির সব দোকান বন্ধ রয়েছে এবং কয়েকজন ছাত্রছাত্রী টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটি গঠনের পরই শাখা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে টিএসসি ও এর আশেপাশের দোকান থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে, কিন্তু তারা কেউ ছাত্রলীগের কর্মী নয়। ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন লোক টিএসসিতে চাঁদাবাজি করে থাকে, যার কারণে ছাত্রলীগের দুর্নাম হয়।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইবরাহীম ফরাজী বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য আমরা টিএসসি বন্ধ ঘোষণা করেছি। আমাদের নাম ভাঙিয়ে কে বা কারা চাঁদাবাজি করে, তা আমরা জানি না। এখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ছাত্রছাত্রীদের বসার জন্য পার্কের মতো ব্যবস্থা করা হবে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন বলেন, টিএসসি বন্ধ হওয়ায় এখন আর কোনো চাঁদাবাজি হবে না। জগন্নাথ ছাত্রলীগের কোনো চাঁদাবাজ বা নেশাগ্রস্তদের জায়গা হবে না। আমরা এখানে সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম পরিবেশে বসার ব্যবস্থা করব।
তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই টিএসসি বন্ধের এমন সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আজ (গতকাল) সকালে চা খেতে এসে দেখি টিএসসির সব দোকান বন্ধ। ক্যান্টিনে নিয়মিত জায়গা না পাওয়ায় আমরা সাধারণত টিএসসিতে চা, নাস্তা ও ভাত খেয়ে থাকি। আজ হঠাৎ এটা কেন বন্ধ বুঝলাম না।
এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ররক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) এ বিষয়ে কিছু জানি না। এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এখতিয়ার নেই।’
প্রসঙ্গত, সংগঠনের কাজে গতি আনতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করে।