নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার আগামীকাল বুধবার থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২৩ জানুয়ারি (রোববার)। তাই আগামীকাল বুধ এবং তার পরদিন বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন হবে। রেকর্ড ডেটের দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ার পরদিন থেকে শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা এক পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ মার্চ বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ জানুয়ারি।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল চার টাকা সাত পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯৩ টাকা ৪২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৮ টাকা ৯৮ পয়সা।
এর আগে ৩০ জুন, ২০২০ হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা অয়েল। ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৮ টাকা ১৩ পয়সা। আলোচিত বছরে এনএভিপিএস হয়েছে ১৬১ টাকা ৪০ পয়সা। আর এ বছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৩৮ পয়সা। কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। তাদের মোট ১১ কোটি চার লাখ ২৪ হাজার ৬০০ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে সরকারি ৬০ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে দুই দশমিক ৯০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি আট দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।