নিজস্ব প্রতিবেদক: তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র এখনও রয়েছে, এটি শুধু একপক্ষের লাভের বিষয় হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। গতকাল অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তিস্তা নদী অববাহিকা: সংকট উত্তরণ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ‘৭ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ২০২২’-এর শেষ দিনে তিনি এ কথা বলেন।
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মানুষ ও প্রকৃতিভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে সমাধানের পথ বের করতে হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, নদীর পানি শাসনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে।
অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘মানুষ নদীর সঙ্গে বসবাস করে, কিন্তু সাধারণত নদী-সংক্রান্ত আলোচনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ধারণা স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এসেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্প্রদায়ভিত্তিক পানি জাদুঘরটি ২০১৪ সালে অ্যাকশনএইড প্রতিষ্ঠা করে। এ পানি জাদুঘর এখন আইডিয়া জেনারেশন, নদীভিত্তিক তৃণমূল মানুষের কণ্ঠস্বর, শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম এবং গ্লোবাল ওয়াটার মিউজিয়ামের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।’
দ্য গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব ওয়াটার মিউজিয়ামের নির্বাহী পরিচালক ড. এরিবার্তো ইউলিস বলেন, ‘তিস্তা নদী অন্যান্য নদীর মতোই পরিবর্তনের প্রতীক। পানি-সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সহযোগিতা ও ভালো অনুশীলন প্রয়োজন।
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আরও ভালো সহযোগিতার পথ খুঁজে পেতে পারি।’ শহীদুল হক সরকারকেন্দ্রিক কাঠামোর পরিবর্তে বৃহত্তর জনগণকেন্দ্রিক কাঠামোকে বেছে নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মানসিকতার পরিবর্তন ও কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নেপাল আইএসইটির উপদেষ্টা অজয় দীক্ষিত; লিভিং ওয়াটারস মিউজিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অ্যাডজান্ট প্রফেসর ডা. সারা আহমেদ এবং এওএসইডিও’র নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফিন।