দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দুই টাকা ৬০ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) হিসাবে ইপিএস কমেছে ছয় টাকা ৭৫ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল আট টাকা পাঁচ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে দুই টাকা ৬০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১ টাকা ৪৮ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০৯ টাকা ২৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭৮ পয়সা (ঘাটতি); অথচ আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৭ টাকা ৯৫ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫০ শতাংশ নগদ এবং উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের জন্য ১৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৪ টাকা ২১ পয়সা, আর ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১১ টাকা ৫৯ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়নসহ), ২০৮ টাকা ১৬ পয়সা (সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত) আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৯৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯ হাজার ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। কোম্পানির ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯৯ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২০ দশমিক ১২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৩৭ দশমিক শূন্য তিন।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে  ডিএসইতে শেয়ারদর তিন দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৪১ টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৯০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০