নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেয়া শুরু হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি থেকে তাদের অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথম পর্যায়ে ছয় হাজার গ্রাহক এ অর্থ ফেরত পাবেন। এজন্য ৫৯ কোটি টাকা ছাড় করতে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গতকাল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৫৯ কোটি টাকা ছাড় করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এতে ছয় হাজারের মতো গ্রাহক অর্থ ফেরত পাবেন।’
জানা গেছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের আদেশ দিয়েছিলেন গ্রাহকরা। এজন্য পণ্যর দামের বিপরীতে কিছু অর্থও পরিশোধ করেছেন তারা। কিন্তু আর্থিক
কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় কিউকমের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে আটকে যায় পরিশোধ করা অর্থ।
জানা গেছে, পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান ফস্টারের মাধ্যমে এসব অর্থ ফেরত দেয়া হবে। এজন্য বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে কিউকমে টাকা ফেরত দেয়ার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও। এজন্য ২৪ জানুয়ারি তারা একটি সভাও ডেকেছে মন্ত্রণালয়ে। এ সময় ডিজিটাল কমার্স-সংক্রান্ত কার্যক্রম ও ভোক্তা-বিক্রেতা অসন্তোষ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে টাকা হস্তান্তর করা হবে।
জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ছাড়পত্র নেয়া হয়। সে অনুযায়ী কিউকমের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি ৭২১ গ্রাহকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা ফেরতের বিষয়ে একমত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় কিউকম ও তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার। এই পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকম ডটকমের আটকে থাকা টাকার পরিমাণ ৩৯৭ কোটি টাকা।
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম। বাজার মূল্যের চেয়ে কমদামে পণ্য দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য না দেয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এরপর অর্থ পাচারের বিষয়টিও বেরিয়ে আসে।