শেয়ার বিজ ডেস্ক:দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে হাঙ্গা টোঙ্গা-হাঙ্গা হা’পাই নামের আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে গত ১৫ জানুয়ারি। এতে সৃষ্ট ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা। সতর্কতা জারি করা হয় আশপাশের কয়েকটি দেশে। এবার এর প্রভাবে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে পেরুতে। এজন্য দেশটিতে ৯০ দিনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটিতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামির ধাক্কায় ট্যাংকার ফুটো হয়ে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় গত শনিবার পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে পেরু সরকার। টানা ৯০ দিন জারি থাকবে এ আদেশ। দেশটির সরকারের তরফ
থেকে বলা হয়েছে, ২১টির মতো সমুদ্রসৈকতে তেল ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় টেকসই ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করেছে তারা।
১৭৪ হেক্টর জমিতে সামুদ্রিক এলাকায় তেল ছড়িয়ে পড়েছে। তেল ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্থানীয়দের। আর সে কারণে দেশটির সরকার তেল শোধনাগারের মালিক স্প্যানিশ এনার্জি জায়ান্ট রেপসোলের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করছে তারা। তবে কোম্পানিটির যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক টিন ভান ডেন ওয়াল বেক তেল ট্যাংকার ফুটো হওয়ার ঘটনার দায় অস্বীকার করেন। তেল খুব সামান্য ছড়িয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
পেরুর পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির মূল লক্ষ্য, দুর্যোগের পর কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা এবং দলগুলোকে আরও ভালোভাবে সংগঠিত করা এবং এর পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানো।
এর আগে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটে জানায়, রাজধানী লিমার আশপাশ ঘিরে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়। এতে শত জেলে পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ে পেরুতে মারা গেছেন দুজন।
মহাসাগরে অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে টোঙ্গা। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগের এক সপ্তাহ পরও দেশটিতে চরম খাদ্য সংকট রয়ে গেছে এবং বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটও দেখা দিয়েছে। দেশটিতে খাদ্যের জন্য যে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অগ্ন্যুৎপাতের পর সৃষ্ট সুনামির ঢেউ আঘাত হানে কয়েক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান উপকূলেও।