নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে ডেনমার্কের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি খাতে বিনিয়োগ আনতে ডেনমার্ক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইননি এস্ট্র–প পিটারসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডেনমার্ক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে আমাদের সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে কৃষিতে তাদের সহযোগিতা অনেক বেশি। প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ে আমাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের জন্য তারা অনেক সহযোগিতা করেছে। এরই মধ্যে আমরা দানাজাতীয় খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এটাকে আমরা কীভাবে প্রসেস করতে পারি তাতে এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং ভ্যালু চেইনে তারা সহযোগিতা করতে পারে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য। সেখানে আমরা ডেনমার্কের সহযোগিতা চেয়েছি। ডেনমার্কের এগ্রো প্রসেসিংয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তারা খুবই সফল এ ক্ষেত্রে। তারা বলেছে, তাদের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে কীভাবে আনা যায়, এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশে কৃষি খাতে বিনিয়োগ আনতে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে আনারস ও আম উৎপাদন করি। এগুলো কীভাবে প্রসেস করে ভালো জেলি করা যায়; আমরা ভুট্টা করি, ভুট্টা থেকে কীভাবে কর্নফ্লেক্স করা যায়, কীভাবে আলু থেকে আরও উন্নতমানের চিপস করা যায়Ñএসব প্রসেসিংয়ে তারা তাদের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আনার জন্য উৎসাহিত করবে। তারা এরই মধ্যে চেষ্টা করছে। যেমন ডানো এখানে বিক্রি হয়, ডানো কোম্পানির সঙ্গে তাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের দুধ দিয়ে কীভাবে পাউডার মিল্ক করা যায়। এ ধরনের ক্ষেত্রে তারা আমাদের সাহায্য করবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে আমরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে উৎপাদন করতাম। এখন চিন্তা করছি বাণিজ্যিক কৃষি এ লক্ষ্যে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।
আমরা শক্তভাবে ধর্মীয় ও বিশ্বাসের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজকে ডেনমার্কের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলাপ হয়নি। আমি তাদের বলেছি, আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করিনি। জঙ্গি ও ধর্মীয় উগ্রবাদী যারা তাদের দমন করার জন্য আমাদের অনেক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, সেটা আমাদের বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী নেয়া হয়েছে। আমরা মানবাধিকার মেনে চলি। আওয়ামী লীগ কোনোদিনই ধর্মীয় উগ্রবাদী ও ধর্মান্ধদের সঙ্গে আপস করেনি। এটা আওয়ামী লীগের মৌলিক নীতি।