শেয়ার বিজ ডেস্ক: কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক থাকছেন তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। ডব্লিউএইচওর ইতিহাসে তিনিই প্রথম আফ্রিকান মহাপরিচালক। খবর: এএফপি।
চলতি বছর মে মাসে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সংস্থার সদস্য ১৯৪টি দেশ থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার নিয়ম রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও গেব্রিয়েসুসের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাউকে দাঁড় করায়নি কোনো সদস্যরাষ্ট্র। এ কারণে দ্বিতীয় মেয়াদেও গেব্রিয়েসুস থাকছেন। গত মঙ্গলবার ডব্লিউএইচও সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অংশগ্রহণে পদ্ধতিগত ভোটের ফলও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় একক প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি।ফলে আগামী মে মাসে চূড়ান্ত নির্বাচনেও একাই প্রার্থী থাকবেন।
গেব্রিয়েসুস বলেন, গত পাঁচ বছর ছিল আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন সময়। বর্তমানে বিশ্বকে মহামারিমুক্ত করতে যে সংগ্রাম চলছে, তা চালিয়ে যাওয়ার যে সুযোগ আমাকে সবাই দিয়েছেন, সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ১৯৬৫ সালে ইথিওপিয়ার আসমারা শহরে জন্ম নেন গেব্রিয়েসুস। ১৯৯০ সাল থেকে ওই শহরটি পার্শ্ববর্তী দেশ ইরিত্রিয়ার রাজধানী। ১৯৮৬ সালে আসমারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে ব্যাচলর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯২ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন থেকে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ বিদ্যার ওপর মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
গেব্রিয়েসুসের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৬ সালে স্নাতক পাস করার পর। ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জুনিয়র পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যাম থেকে কমিউনিটি হেলথ ও ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য ২০০০ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন। ২০০৩ সালে হন ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। ২০০৫ সালে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হন গেব্রিয়েসুস। এ পদে ছিলেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। এরপর ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন এবং ২০১৬ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার পর ২০১৭ সালে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক হন।