২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে ‘স্কুলের দেয়াল ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বগুড়া প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ শারমিন আকতার। গত সোমবার দৈনিক শেয়ার বিজে ডাকযোগে পাঠানো ওই প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রকাশিত ওই সংবাদটি আপত্তিকর, মনগড়া, ভিত্তিহীন ও বাস্তবতা-বিবর্জিত। ‘প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে কোনো ধরনের কথাবার্তা হয়নি। প্রকৃত ঘটনা হলো পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর রাধানগর মৌজার ১৪৬৪ ও ১৪৬৫ দাগের মোট ৭৯ শতকের মধ্যে ১৪৬৫ দাগের ২৮ শতকসহ ৪.০১ একর জমি আমার পিতা তসলিম উদ্দিনের পৈতৃক ও ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ২০০৭ সালে ১৯৫২ নং খারিজ মূলে নিজ নামে খারিজ করে আমার মা ও চার ভাইবোনকে গত ১৫.১২.২০১৪ তারিখে ৪৩৯৩নং রেজিস্ট্রিকৃত দানপত্র দলিল মূলে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে গ্রহীতাদের অনাপত্তির ভিত্তিতে উক্ত ২৮ শতক জমি আমি নিজাংশে প্রাপ্ত হয়ে আমার নামে ২৮০৮নং খারিজ খতিয়ান মূলে খারিজ করি।
সুতরাং আমার পিতা কর্তৃক রাধানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বরাবর ১৪৬৫নং দাগের ২৮ শতক জমি দানের কাহিনি এবং আমার পিতার নিকট থেকে ‘সুকৌশলে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়ার বক্তব্য’ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য দেয়া হয়নি। গত ১৯.১২.২০২১ তারিখে মো. আয়ুব আলী, প্রধান শিক্ষক (সদস্য সচিব) রাধানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আটোয়ারী পঞ্চগড় কর্তৃক আটোয়ারী থানায় দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
এ প্রতিবেদনটি দৈনিক শেয়ার বিজ পত্রিকাসহ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। বেসরকারি টিভি চ্যানলগুলোতেও প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরির সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা অনেকে তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি সবার ফোন রিসিভ করেননি। আমাদের যে সহকর্মীর ফোন রিসিভ করেছেন, তার কথোপকথন লাউড স্পিকারে শুনে বক্তব্যযুক্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিবাদলিপিতে আবেদনকারী নিজেও ওই দিন ওই স্থানে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছেন। ওই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভাঙার ঘটনা ঘটেছে, তিনি থানায় জিডি করেছেন এবং ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ বলে দাবি করেছেন।