সচেতনতায় কমবে ক্যানসারে মৃত্যুঝুঁকি

বিলকিস নাহার পিংকি: ক্যানসারকে বলা হয় মারণব্যাধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে প্রতি বছর ক্যানসার আক্রান্ত  মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শিল্পোন্নত দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের জীবনধারার পরিবর্তন, বার্ধক্যজনিত কারণ, স্থূলতা, ধূমপান প্রভৃতি কারণে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশ্বব্যাপী ধূমপান থেকে সৃষ্ট ফুসফুস ক্যানসারেই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ সংখ্যা ১৮ লাখ, যা অন্যান্য ক্যানসার আক্রান্তের মোট সংখ্যার ১৩ শতাংশ। ডব্লিউএইচও বলছে, ফুসফুস ক্যানসার ছাড়াও বিশ্বে এক লাফে বেড়েছে স্তন ক্যানসার। ২০০৮ সাল থেকে এ ক্যানসার আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার দুটোই বেড়েছে। ১৪০টি দেশে নারীরা এখন এ ক্যানসারই সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ক্যানসারের এ হারে বাড়তে থাকলে ডব্লিউএইচও’র হিসাব মতে, ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ৯০ লাখ ছড়িয়ে যাবে।

বৈশ্বিক এ পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের (আইএআরসি) অনুমিত হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ২২ হাজার (প্রতিদিন ৩৩৪) মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হন, মারা যান ৯১ হাজার (প্রতিদিন ২৫০)। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্যানসার আক্রান্ত রোগীই রোগ নির্ণয়ের প্রায় এক বছরের মাথায় মৃত্যুবরণ করে। এসব পরিসংখ্যান দ্বারা বিশ্বব্যাপী ক্যানসারের ভয়াবহতা আঁচ করা যায়।

মানবদেহ মূলত অসংখ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষের সমন্বয়ে গঠিত। পরিণত অবস্থায়, মানবদেহের কোষের সংখ্যা থাকে গড়ে প্রায় ৩৭.২ ট্রিলিয়ন। এই কোষগুলো আবার দু’ভাবে বিভাজিত হয়Ñমাইটোসিস এবং মায়োসিস। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে জীব দৈর্ঘ্য-েপ্রস্থে বৃদ্ধি পায় আর মায়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীব বংশবৃদ্ধি করে থাকে। অধিকাংশ টিউমার-ক্যানসার হওয়ার মূল কারণ কোষের অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস বিভাজন। কোষের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক বিভিন্ন প্রভাবক দ্বারা মাইটোসিস কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রিত হয়। কোনো কারণে এই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয় ক্যানসার টিউমারের মতো রোগব্যাধি। ক্যানসার কোষে সাইক্লিন-সিডিকে নিয়ন্ত্রণ বিনষ্ট হয়ে যায়। পি-৫৩ নামক প্রোটিন সাধারণত কোষকে বিভাজন হতে বিরত রাখার ভূমিকা পালন করে। এটি বিনষ্ট হয়ে গেলে কোষচক্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং ফলশ্রুতিতে ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ক্যানসার কোষ বিভাজিত হওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় গ্রোথ ফ্যাক্টর নিজেরাই তৈরি করে নেয় অথবা এদের বিভাজনের জন্য কোনো গ্রোথ ফ্যাক্টর লাগে না।

এখন পর্যন্ত ২০০টিরও বেশি ধরনের ক্যানসার শনাক্ত করা গিয়েছে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্তন ক্যানসার, ত্বকের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার  প্রভৃতি। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কয়েক ধরনের ক্যানসার রয়েছে: 

কার্সিনোমা: ত্বকে বা টিস্যুতে শুরু হয়- যা অভ্যন্তরীণ অরগানগুলোকে আবৃত করে আক্রান্ত করে। যেমন: ত্বক, ফুসফুস, কোলন, অগ্ন্যাশয়, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার প্রভৃতি।

সারকোমা: কারটিলেজ, হাড়, পেশী, রক্তনালি বা অন্যান্য কানেকটিভ টিস্যুতে যে ক্যানসার হয় তাই সারকোমা।

লিউকেমিয়া: অস্থিমজ্জা থেকে শুরু করে রক্ত তৈরির টিস্যুকে আক্রান্ত করে এবং অস্বাভাবিক রক্তকোষ সৃষ্টি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

লিম্ফোমা এবং মেলোমা: দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমের সঙ্গে জড়িত কোষগুলোতে এ ক্যানসার দেখা দেয়।

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্যানসার: মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের টিস্যুতে সৃষ্ট ক্যানসার।

ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী মূলত জীবনযাত্রা, ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য সেবন, স্থূলতা, বয়স, খাদ্যাভ্যাস প্রভৃতি। বিভিন্ন কারণে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল কিংবা আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের ফলে ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী পদার্থ আমাদের দেহে প্রবেশ করে। যেসব পদার্থের উপস্থিতির কারণে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি হয় তাদের বলা হয় কার্সিনোজেন। এটি মূলত ২ প্রকারের হয়ে থাকে। প্রো-কার্সিনোজেন এবং কো-কার্সিনোজেন।

যেসব কারণে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি হতে পারে-

বয়স: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোষের সজীবতা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই কোষ বিভাজনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্যানসার তৈরি হতে পারে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের উপরে।

খাবার এবং জীবনযাত্রার সঙ্গেও ক্যানসারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন ইত্যাদি যেমন ফুসফুস, মুখ, কণ্ঠনালি এবং যকৃত বা লিভারের ক্যানসারের কারণ ঠিক তেমনি পান-সুপারি, জর্দা, অতিরিক্ত লবণ, চিনি, মাংস প্রভৃতি খাবারের সঙ্গেও ক্যানসারের যোগসূত্র রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল গ্রহণ করলে দেহে কারসিনোজেন উৎপন্ন হয়। অ্যালকোহল লিভার সিরোসিসসহ লিভার ক্যানসারের অন্যতম কারণ। তাছাড়াও কোলন, পাকস্থলী, জরায়ুর ক্যানসারের সঙ্গেও অ্যালকোহলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। নারীদের অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে দেহে অ্যাসিটালডিহাইড উৎপন্ন হয় যার ফলে ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায় এবং জরায়ুমুখের ক্যানসার, ডিম্বাশয় এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা যায় অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ রোগী অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে সৃষ্ট ক্যানসারে মারা যায়। অতিরিক্ত ধূমপান ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। তামাকে মূলত থাকে ক্ষতিকারক উপাদান নিকোটিন যেটি কি না মারাত্মক কারসিনোজেন। দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে কোষের ডিএনএ স্ট্রাকচারের নিউক্লিওটাইডে ত্রুটি দেখা যায়, যার ফলে সুস্থ কোষও ক্যানসার কোষে রূপান্তরিত হয়। বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষের ক্যানসারে মৃত্যু হয় তামাক সেবনের কারণে। যত ক্যানসার রোগী মারা যায় তার ২৫ শতাংশ তামাক সেবনের কারণে মারা যায়।

তাছাড়া রিফাইন্ড চিনি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ফসলেও ক্যানসার ঝুঁকি রয়েছে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবারও ক্যানসার কোষ তৈরির জন্য সহায়ক। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে যে বাদামি রঙের পদার্থ সৃষ্টি হয় সেটি অ্যাক্রিলামাইড এবং এটি কারসিনোজেনিক। অ্যালুমিনিয়ামও একটি কারসিনোজেনিক পদার্থ। তাই অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রের অধিক ব্যবহার ক্যানসার ঝুঁকির অন্যতম কারণ। এছাড়া খাদ্য সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিমভাবে তৈরি ফুড প্রিজারভেটিভসে থাকে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ক্যাডমিয়াম ও ক্রোমিয়াম ধাতু যেগুলো ক্যানসার কোষ তৈরির জন্য সহায়ক।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং পেশাগত কারণেও অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমনÑজমেসোথেলিওমিয়া-তে (এক ধরনের দুরারোগ্য দুর্লভ ক্যানসার) আক্রান্তদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই অ্যাসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন।

বর্তমানে যে কারণে নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো রং ফর্সাকারী ক্রিম, সৌন্দর্যবর্ধনকারী সামগ্রীর অতিমাত্রায় ব্যবহার এবং প্রসাধনে ভেজাল। অনুমোদনহীন কোম্পানি অধিক মুনাফার লোভে এসব প্রসাধনীতে অতিমাত্রায় মার্কারি সব বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে, যা নারীদের ক্যানসারের অন্যতম কারণ।

ফুসফুস, কোলন, স্তন, জরায়ু, অগ্ন্যাশয়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার কোষ তৈরি হয় এবং অরগানভেদে এসব ক্যানসারের লক্ষণও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।

ভীষণ ক্লান্ত বোধ করা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া, দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা, মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া), জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমা, অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া, ত্বকের পরিবর্তন দেখা যাওয়া, মানসিক অস্বস্তি প্রভৃতি।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসার রোগ প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না এবং প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত না হলে কোনোভাবেই এর বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। ক্যানসারের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি হলো অস্ত্রোপাচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি।

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। রেডিওথেরাপিতে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা হয়। কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ক্যানসার (সাউটো-টক্সিক) ড্রাগস ব্যবহার করা হয়। ৫০টির বেশি কেমিওথেরাপি ওষুধের কোনটি স্যালাইন আবার কোনটি ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রক্তের সঙ্গে মিশে এ ওষুধ ক্যানসার আক্রান্ত কোষে গিয়ে সেখানকার ক্যানসার কোষগুলো ধ্বংস করার চেষ্টা করে। বর্তমানে কাটাছেঁড়া, রক্তপাতহীন এবং অনেকটা ঝামেলাবিহীন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা হলো ক্রায়োসার্জারি। প্রযুক্তির এ যুগে ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে ব্যথাহীনভাবে ক্যানসার, টিউমার কোষকে ধ্বংস করতে এ পদ্ধতির বিকল্প নেই। ক্রায়োসার্জারি তে ক্রায়োপ্রোব, ক্রায়োগান, নাইট্রোজেনসহ প্রয়োজনীয় ড্রাগস এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু ক্যানসার বা টিউমার আক্রান্ত কোষকেই ধ্বংস করা যায়, যা অন্যান্য পদ্ধতির তুলনামূলক ঝামেলাবিহীন এবং অধিক কার্যকর।

ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে আসার পরে এর বিরুদ্ধে শতভাগ  কার্যকর কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধই পারে এই রোগের ভয়াবহ  মৃত্যুহার কমাতে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু ব্যাপার মেনে চললে ক্যানসার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো যায়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ধূমপান, অ্যালকোহলসহ ক্ষতিকারক সব কারসিনোজেনিক পদার্থ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, খাদ্যাভাসে পরিবর্তন প্রভৃতি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে অনেকটাই। প্রযুক্তির বদৌলতে আমাদের জীবন সহজ হয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু আমরা হয়ে গেছি ঘরকুনো। শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলা বাদ দিয়ে মোবাইল গেমস কিংবা কম্পিউটারের সামনে বসেই যেন অধিকাংশ সময় চলে যায়। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন ভারী ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন খেলাধুলার অভ্যাস করতে হবে-দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার ইত্যাদির চর্চা করতে হবে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, পান-জর্দা, চর্বিজাতীয় খাবার, মাংস, তামাক পাতা প্রভৃতি পরিহার করতে হবে। নিয়মিত এবং সুষ্ঠু খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে স্থূলতা বর্জন করতে হবে।

ইদানীং ভেজাল ও মানহীন প্রসাধনীতে সয়লাব হয়ে গেছে বাজার, যার মধ্যে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। এর অধিকাংশই কারসিনোজেনিক এবং তীব্র ক্যানসার ঝুঁকি বাড়ায়। এসব ভেজাল এবং ক্ষতিকারক প্রসাধন সামগ্রীর ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন নাগরিকদের পাশাপাশি সরকারকেও উদ্যোগী হতে হবে এসব ভেজাল প্রসাধনের বিরুদ্ধে। জনসাধারণের মাঝে ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিয়মিত সভা সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০