নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির কাছে ১০ জনের নামের সুপারিশ জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিমের কাছে নামের তালিকা জমা দেন।
সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘সার্চ কমিটির কাছে ১০ জনের নামের তালিকা দিয়েছি।’
তিনি জানান, ‘গত মঙ্গলবার সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের কাছে ইসি নিয়োগে মনোনয়নের জন্য আইন অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন অনধিক ১০ জনের নাম ও তাদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত প্রস্তাব আকারে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবারের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সে অনুযায়ী আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় সার্চ কমিটির সভাপতি বরাবর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ফরোয়ার্ডিং লেটারসহ বদ্ধ খামে যোগ্যতাসম্পন্ন ১০ ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্তসহ তালিকা জমা দিয়েছি।’
ইসি নিয়োগে ২৭ জানুয়ারি পাস হওয়া আইনের আলোকে ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম প্রস্তাব করতে বলে সার্চ কমিটি।
আইন অনুযায়ী, ইসি গঠনে নামের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে সার্চ কমিটি ১৫ দিন সময় পাবে। সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের খোঁজে আইন অনুযায়ী কাজ করছে কমিটি।
এদিকে ইসি নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত ৬০ ‘বিশিষ্টজনের’ মতামত নিতে আজ ও আগামীকাল বৈঠকের কথা রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গত মঙ্গলবার বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। যদি কমিটির সভাপতি চান আরও কয়েকজন যোগ হতে পারে। তাদের সঙ্গে আজ ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা, পৌনে ১টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত এবং আগামীকাল বসে সাজেশন নেয়া হবে। তাদের কাছেও চিঠি দেয়া হবে।’
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ইসি চূড়ান্ত না হলেও কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।