শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্রিকেটের উন্নয়ন বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য কর্মসূচি ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের নেতৃত্বে পরিচালিত লর্ডসের এমসিসি একাডেমি গত ২৮ জানুয়ারি বর্ণবাদ প্রতিরোধে ‘বৌল আউট রেসিজম’ শীর্ষক এক প্রচারাভিযান উদ্বোধন করে। এ প্রচারাভিযানে গতি সঞ্চার করার লক্ষ্যে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি প্রদর্শন করা হয়। এ বৌল আউট রেসিজম প্রচারাভিযানে সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্রিকেট ক্লাব লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাদের সবার মানবাধিকার চর্চার সুযোগ অবারিত করার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি বৈষম্যহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মনের মধ্যে কোনো প্রকার সংশয় না রেখে আমাদের সবার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হওয়া উচিত।’
এ প্রচারাভিযানে যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, সচেতনতা সৃষ্টি এবং পারস্পরিক সম্মান নিশ্চিত করা। এ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্লাব, স্কুল ও অংশীজনদের সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক কর্মশালা আয়োজন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উন্নয়ন করা হবে, যার মাধ্যমে পরবর্তীতে বর্ণবাদ ও সব ধরনের বৈষম্যের বিষয়ে শিশু ও তরুণদের শিক্ষা দানের পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকরাও উপকৃত হতে পারবেন। এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি ও বিশ্বাস সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এছাড়া এ ক্যাম্পেইনে ক্রিকেটের মূলমন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ক্রীড়াক্ষেত্র ও ক্রীড়াক্ষেত্রের বাইরে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি উদ্বুদ্ধ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের সিইও শহিদুল আলম বলেন, ‘১৯৮৯ সালে যাত্রার শুরু থেকেই ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট লন্ডনব্যাপী শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে একটি বহুমাত্রিক সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। একটি ইতিবাচক শক্তির নিদর্শন হিসেবে আজ আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপ ট্রফি এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা ও সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের মূলোৎপাটনে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করব।’
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টম হ্যারিসন বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন থেকে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট কর্তৃক পরিচালিত বর্ণবাদবিরোধী এ প্রচারাভিযানকে আমি স্বাগত জানাই। লন্ডনে স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেট অঙ্গনের তরুণ জনগোষ্ঠী এ প্রচারাভিযানে যুক্ত হবেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটকে একটি স্বাগতিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রীড়ায় পরিণত করার বিষয়ে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং আমরা সেটি করতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে পুরো ক্রীড়াঙ্গনে আমরা প্রকৃতপক্ষে একটি টেকসই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব।’
ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের চেয়ারম্যান হাইন্ড টার্নার বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে গৃহীত এ উদ্যোগ একদিন জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে।
লন্ডন অ্যাসেমব্লির সদস্য ঊনমেষ দেশাই বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্ণবাদ প্রতিরোধে ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট কর্তৃক শুরু হওয়া এ প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ইসিবি ও লন্ডন ক্রিকেট বোর্ড এ প্রচারাভিযানে সমর্থন দিচ্ছে জেনে আমার খুব ভালো লাগছে। ঘৃণা ও বৈষম্য প্রতিরোধে শিক্ষা প্রধানতম অনুঘটক। আমি আশা করি, আজকের এ উদ্যোগ সেই প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্পন্নে ভূমিকা রাখবে এবং সব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘বৌল আউট রেসিজম’ স্লোগানের মর্মবাণী ছড়িয়ে পড়বে। এই বৌল আউট রেসিজম প্রচারাভিযানে সমর্থন জোগানোর জন্য লন্ডন অ্যাসেমব্লির পক্ষ থেকে আমার সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
